দিল্লি বিস্ফোরণের ৬ দিন আগে শ্রীনগর, কুলগাম, পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং বারামুল্লায় তল্লাশি অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অনলাইনে কট্টরপন্থা ছড়ানো ৯ জনকে আটক করা হয়েছিল সেই সব অভিযানে। সেই অভিযানের সময়ই বাজেয়াপ্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে পুলিশ 'মেডিক্যাল বয়েজ' এবং 'নিউ ফর্মুলার' বিষয়ে আভাস পায়।
বহুদিন কি তল্লাশি অভিযান চলল? দিল্লি বিস্ফোরণের ৭ দিন আগে কী জানা গেসল?
Nov 11, 2025
দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। তবে এই ধরনের একটি হামলার ছক যে কষা হচ্ছিল, সেই সম্পর্কে গোয়েন্দারা আভাস পেয়েছিলেন আগে থেকেই। গত ৭ দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে অভিযান চলছিল এই হামলা রুখতে। হরিয়ানাতেও শুরু হয় অভিযান। বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণ আটকানো সম্ভব হয়নি।
দিল্লি বিস্ফোরণের ৬ দিন আগে শ্রীনগর, কুলগাম, পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং বারামুল্লায় তল্লাশি অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অনলাইনে কট্টরপন্থা ছড়ানো ৯ জনকে আটক করা হয়েছিল সেই সব অভিযানে। সেই অভিযানের সময়ই বাজেয়াপ্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে পুলিশ 'মেডিক্যাল বয়েজ' এবং 'নিউ ফর্মুলার' বিষয়ে আভাস পায়।
দিল্লি বিস্ফোরণের ৫ দিন আগে পুলওয়ামা থেকে গ্রেফতার করা হয় ডঃ মুজাম্মিল শকিল, কুলগাম থেকে ডঃ আদিল আহমেদ রাথার, অনন্তনাগ থেকে ডঃ শাহিন শাহিদকে। এদের মধ্যে ডঃ শাহিনের কাছ থেকে একটি একে-১০৩ রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া শোপিয়ান থেকে সেদিন এক ইমামকেও গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মুজাম্মিল এবং আদিলের দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরক সংগ্রহ করা। ফার্টিলাইজার বিক্রেতার থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট একত্রিত করেছিল এই চিকিৎসক জঙ্গিরা। হাওয়ালার মাধ্যমে এই ফার্টিলাইজারের দাম মেটানো হয়। হরিয়ানার ফরিদাবাদে সেই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত করে রাখা হয়েছে বলে জানা যায় জেরায়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই তথ্য জানায় চণ্ডীগড় এবং হরিয়ানা এসটিএফ-কে।
বিস্ফোরণের ৪ দিন আগে জৈনপোড়া, দেবসর এবং আশেপাশের গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারকে। ধৃতরা হল - রশিদ খনদে (শোপিয়ান), বিলাল গণি (কুলগাম), নজর (অনন্তনাগ)।
বিস্ফোরণের ৩ দিন আগে হরিয়ানা এসটিএফ ফরিদাবাদের অভিযানের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ উপত্যকায় তল্লাশি অভিযান এবং তদন্ত জারি রাখে। সীমান্ত পার কার্যকলাপের ওপর নজর রাখে আইবি।
বিস্ফোরণের ২ দিন আগে ফরিদাবাদে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর সিআইডি এবং হরিয়ানা এসটিএফ এই যৌথ অভিযান চালিয়েছিল। ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক সহ ২টি একে সিরিজের রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। আইইডি স্কিম্যাটিকও উদ্ধার করা হয়। সেদিন সজিদ লতিফ বলে এক কাশ্মীরি ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি বারামুল্লা। এছাড়া এক চালককেও গ্রেফতার করা হয়। ইমতিয়াজ ভাট নামক এক বোমা প্রস্তুতকারককে গ্রেফতার করা হয়।
বিস্ফোরণের ১ দিন আগে ফের তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বল্লভগড়, সোহান রোড, পালওয়ালে। আরও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আকিব মির এবং তারিক আহমেদ দার নামে দুই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারকে।
বিস্ফোরণের দিন সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৩ জনের। বিস্ফোরণের ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশের ডগ স্কোয়াড। মোতায়েন করা হয় এনএসজি। তড়িঘড়ি সেখানে ফরেন্সিক দল পাঠানো হয় নমুনা সংগ্রহের জন্য।
We hate spam as much as you do