Tranding

03:56 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / মহিলাদের গনপ্রহারে জখম পটাশপুরের ধর্ষক, খুনির মৃত্যু ! তদন্তে জেলা পুলিশ

মহিলাদের গনপ্রহারে জখম পটাশপুরের ধর্ষক, খুনির মৃত্যু ! তদন্তে জেলা পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, গণপিটুনিতে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি ‘নির্যাতিতা’র বাড়ি থেকে খানিক দূরে। ওই প্রৌঢ়কে রবিবার সকালে গ্রামের মহিলারাই বাড়ি থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যান। রাস্তায় ফেলে চলে মারধর। তার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ঘণ্টারও বেশি মারধর করা হয় ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে কোনও ক্রমে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মৃতের দেহ এগরা থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য।

মহিলাদের গনপ্রহারে জখম পটাশপুরের ধর্ষক, খুনির মৃত্যু ! তদন্তে জেলা পুলিশ

মহিলাদের গনপ্রহারে জখম পটাশপুরের ধর্ষক, খুনির মৃত্যু ! তদন্তে জেলা পুলিশ


 ০৬ অক্টোবর ২০২৪ 


বধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গ্রামের মহিলাদের মারে মৃত্যু হল অভিযুক্তেরও। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করল পুলিশ। পাশাপাশি, ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, গণপিটুনিতে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি ‘নির্যাতিতা’র বাড়ি থেকে খানিক দূরে। ওই প্রৌঢ়কে রবিবার সকালে গ্রামের মহিলারাই বাড়ি থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যান। রাস্তায় ফেলে চলে মারধর। তার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ঘণ্টারও বেশি মারধর করা হয় ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে কোনও ক্রমে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মৃতের দেহ এগরা থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য।


স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশিনীকে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ওই ঘটনা ঘটে। সে দিনই ‘নির্যাতিতা’কে তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহিলার। মৃত্যুসংবাদ গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। দুই ঘটনা প্রসঙ্গেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে ইতিমধ্যে মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ (রবিবার) দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

 

এর পূর্বে ঘটনার প্রেক্ষিতে সিপিআইএম  -এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, আমাদের মুখ দেখানোর সুযোগ কমে যাচ্ছে। ভয়াবহ। বাড়ছে। অপরাধীরা যেন মনে করছে, যা খুশি করতে পারে, কেউ কিছু করার নেই। আর জি কর নয় শুধু, নানা ঘটনার বিস্ফোরণ ঘটে আর জি করে। কিছু লাভ হল না। জয়নগরে বাচ্চা মেয়ে, এখন পটাশপুরে গৃহবধূ। কোথায় যাচ্ছি আমরা? কী করে এত সাহস পাচ্ছে? পার্ক স্ট্রিট থেকে ছোট ঘটনা বলা শুরু হয়। ধূপগুড়ি, কাকদ্বীপ, কামদুনি, হাঁসখালি...মেয়েটির চরিত্র চিত্রণ হয়ে গেল। কামদুনিতে সবাই কার্যত ছাড়া পেয়ে গেল। সরকার রাজনৈতিক মনোভাব নিয়ে এমন ভাবে চলল, যেখানে তদন্তে গন্ডগোল করা যায়, ধামাচাপা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা যায়। যারা করে তারা কলকাতার পুলিশ কমিশনার হয়। এতকিছুর পরও লজ্জা হচ্ছে না? এর শেষ কোথায়? ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আরও উৎসাহিত হয়ে নিশ্চয়ই উৎসবে মেতে উঠবেন। একদিকে মায়ের কোল খালি হচ্ছে, অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে নেচে বেড়াচ্ছেন। আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। সরকারের যখন এমন হাবভাব, মানুষকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।"

Your Opinion

We hate spam as much as you do