Tranding

02:55 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের, অসুস্থ অনেকে!

কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের, অসুস্থ অনেকে!

সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চাকরিহারা প্রশ্ন তোলেন, 'একদিকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশ চাকরিহারাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে! আমাদের কী অপরাধ?' এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। দাবি কয়েকজনের হাত-পাও ভেঙেছে। প্রসঙ্গত, শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরিহারারা পথে নেমেছেন।

কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের, অসুস্থ অনেকে!

কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের, অসুস্থ অনেকে!  


 9th April 2025


চাকরিহারা শিক্ষকদের (Jobless Teachers) একাংশের ওপর লাঠিচার্জ  করল পুলিশ । কসবার ডিআই অফিসের  সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, শুধু লাঠি দিয়ে নয়, চাকরিহারাদের চড়, ঘুষি মারা হয়েছে, ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চাকরিহারারা। সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ভূমিকা নিয়ে।  

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর নেতাজি ইনডোরে চাকরিহারাদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ সেই আশ্বাসে ভরসা করতে পারেননি। ফলে বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হয়, তার আঁচ এদিন পড়ে কলকাতাতেও। কসবার ডিআই অফিসে ঢুকতে চান তাঁরা। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

বুধবার সকালে চাকরিহারাদের একাংশ জড়ো হন কসবার ডিআই অফিসের সামনে। তবে তাঁদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেডের তো ছিলই, ডিআই অফিসের গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা ভেঙেই ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন চাকরিহারারা। সেই সময়েই পুলিশের লাঠির ঘায়ের মুখে পড়েন তাঁরা।


এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছেন চাকরিহারারা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল না এটা। তাহলে কেন পুলিশ এমন আচরণ করবে? তাহলে চাকরি চাইতে যাওয়াটা কি তাঁদের অপরাধ হয়ে গেল? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। দাবি কয়েকজনের হাত-পাও ভেঙেছে! সব মিলিয়ে বর্তমানে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কসবার ডিআই অফিস চত্বর। 


ঠিক কী কারণে ডিআই অফিস অভিযান করেছেন চাকরিহারারা। আসলে তাঁদের বক্তব্য ছিল, স্কুল পরিদর্শকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেবেন তাঁরা। শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরিহারারা পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার সকালে তাই জন্যই কসবার ডিআই অফিসের সামনে ছিল পুলিশি কড়াকড়ি। তবে পরিস্থিতি এমন হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন চাকরিহারারা। 

কসবায় কার্যত যে ছবি ধরা পড়ে তা দেখে প্রথমে মনে হতে পারে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু না। ডিআই অফিসে চাকরির দাবিতে গেছিলেন চাকরিহারারা। সেখানেই তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করে চাকরিহারারা বলেন, নির্দেশ না থাকলে এমন করতে পারে না পুলিশ। তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল না এটা। তাহলে কেন পুলিশ এমন আচরণ করবে? তাহলে চাকরি চাইতে যাওয়াটা কি তাঁদের অপরাধ হয়ে গেল? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

 

সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চাকরিহারা প্রশ্ন তোলেন, 'একদিকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশ চাকরিহারাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে! আমাদের কী অপরাধ?' এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। দাবি কয়েকজনের হাত-পাও ভেঙেছে। প্রসঙ্গত, শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরিহারারা পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। দাবি ছিল, স্কুল পরিদর্শকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেবেন। কিন্তু কলকাতায় ফুটে উঠল অমানবিক ছবি। পুলিশের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, চাকরিহারারা নিয়ম ভেঙেছিলেন। আগেই পুলিশকর্মীরা আহত হন। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।


বুধবার সকালে চাকরিহারাদের একাংশ জড়ো হন কসবার ডিআই অফিসের সামনে। তবে তাঁদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেডের তো ছিলই, ডিআই অফিসের গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা ভেঙেই ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা।  তারপরই পুলিশের লাঠির ঘায়ের মুখে পড়েন তাঁরা। প্রবলভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে চাকরিহারারা বলছেন, 'আমরা এমনই নিঃস্ব হয়ে গেছি। এভাবে লাঠি না মেরে আমাদের গুলি করে দিক...' 

Your Opinion

We hate spam as much as you do