৪২৫০০ নিয়োগের মধ্যে ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এর পরেই জানা যায় সংখ্যাটি হবে ৩০,১৮৫। কিন্তু এর মধ্যে কিছু প্রশিক্ষণ যুক্ত প্যারা টিচার থেকে যায় ,সেই আনুমানিক সংখ্যাটি হল প্রায় ২৭৭০ জনের ফলে ৩০১৮৫ থেকে ঐ ২৭৭০ বাদ প্যারা টিচারের সংখ্যাটি বাদ দিলে দাঁড়ায় ২৭,৪১৫!
৩৬,০০০ প্রাথমিক চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ২৭,৪১৫ !
May 16, 2023
৩৬,০০০ প্রাথমিক চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ২৭,৪১৫! এই মুহুূর্তে প্রাথমিকের চাকরি বাতিল নিয়ে একটি নতুন আপডেট সামনে এল! জানা গেল প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের সংখ্যা আরও কমবে! কারণ কিছু টাইপিং মিস্টেক এবং কিছু ডাটা দিতে ভুল হয়েছে আদালতকে ঐ ২০১৪ প্যানেল বাতিল নিয়ে! তাই সংখ্যাটি ৩৬,০০০ নয়। সেটা আরও কমে প্রায় ২৭৪১৫ হতে পারে। কি কি ভুল হয়েছে এবং কেন প্রায় ৮৫৮৫ জনের নাম বাদ যেতে চলেছে সেই নিয়ে নীচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল!
গত ১২ই মে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের! ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণ বিহীন ৩৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ তবে বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, যে প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁদের চাকরি থাকবে৷ কিন্তু এবার ঐ “৩৬০০০” সংখ্যাটি কে নিয়ে হয়েছে বিভ্রাট! কারণ আজকে লেটেস্ট খবর সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ৩৬,০০০ থেকে সংখ্যাটি কমে প্রায় ২৭৪১৫ হচ্ছে!
প্রথমে ৩৬,০০০ প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের কথা সামনে আসে এর পর কোর্টের অর্ডারেও কমবেশি ৩৬,০০০ নন ট্রেন্ড প্রাথমিকের শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা অর্ডার কপি তেও উল্লেখ করা হয়! সেই অর্ডার কপি ডাউনলোড করতে হলে এখানে ক্লিক করুন! এর পরে আজকে খবর সামনে আসে যে না প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের সংখ্যাটি ৩৬০০০ নয় সঠিক সংখ্যাটি হবে ২৭,৪১৫ জনের! এই নিয়ে মামলাকারীরা সোমবার দিন আদলতে নিজের তথ্য জমা করবে বলে জানা গেছে!
এই নিয়ে আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভ্রান্তি দূর করতে হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করতে চলেছেন বলে খবর সামনে এসেছে! শুক্রবার নজিরবিহীন রায় দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, একাধিক বেনিয়ম লুকিয়ে। ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি। সংরক্ষণ নীতিও মানা হয়নি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২০১৬ সালে!
৪২৫০০ নিয়োগের মধ্যে ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এর পরেই জানা যায় সংখ্যাটি হবে ৩০,১৮৫। কিন্তু এর মধ্যে কিছু প্রশিক্ষণ যুক্ত প্যারা টিচার থেকে যায় ,সেই আনুমানিক সংখ্যাটি হল প্রায় ২৭৭০ জনের ফলে ৩০১৮৫ থেকে ঐ ২৭৭০ বাদ প্যারা টিচারের সংখ্যাটি বাদ দিলে দাঁড়ায় ২৭,৪১৫!
এই ৩৬,০০০ চাকরি বাতিলের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় সৃষ্টি হয় মামলাকারীদের মধ্যে। মামলাকারীদের যুক্তি অনুযায়ী, হাইকোর্টের রায় মেনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চাকরিতে বহাল থাকলে চাকরি বাতিল সংখা কমবে ৮৫৮৫। মোট চাকরি বাতিল হবে ২৭৪১৫। ,মামলাকারীদের যুক্তি, টাইপোগ্রাফিকাল ত্রুটির কারণে বিভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, প্রাথমিকে ৪২৬২৮ সর্বমোট শিক্ষক নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। বিভিন্ন কারণে শূন্যপদ পড়ে থাকে ৩২১টি ।
২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ট্রেন্ড প্যারাটিচার ছিল প্রায় ২৭৭০। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, ” এটা একটা স্পর্শকাতর মামলা। বোর্ড বলছে তারা ডিভিশন বেঞ্চে যাবে। সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছাতে পারে মামলা। তাই রায়কে ত্রুটিহীন রাখতে মামলাকারীদের তরফে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।”
এইদিকে আজকেই খবর এসেছে রাজ্য সরকার সিঙ্গেল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার দিন ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! শনিবার দুপুরে প্রায় ৬০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক জমায়েত করেন হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসের সামনে। সেখানে সংগঠনের নেতারা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের সমালোচনা করেন। তাঁদের দাবি, রায়ে তাঁদের প্রশিক্ষণহীন বলা হলেও সেটি ঠিক নয়। সোমবার এর প্রতিবাদে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন তাঁরা।
We hate spam as much as you do