আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ— এই তিন প্রতিষ্ঠান আদালতে তিন ধরনের বক্তব্য তুলে ধরছে। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন এসএলএসটির ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। তবে বুধবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের কর্মসূচি শুরুর মুখেই পুলিশ পদক্ষেপ করে। ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে থেকে তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এসএলএসটি শিক্ষকদের তরফে কর্মসূচির বিষয়ে আগাম কিছু জানানো হয়নি পুলিশকে।
রাজপথে আবার ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বিক্ষোভে শুরুতেই পুলিশের ধরপাকড়
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে কলকাতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ২০১৬ সালের এসএলএসটির ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের। সেই দাবি নিয়ে বুধবার কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন তাঁরা। এসএলএসটি চাকরিজীবীদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ধর্মতলায়। সেখানে বিক্ষোভরত শিক্ষকেরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা চাইছেন এসএলএসটি চাকরিজীবী যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের পৃথক করা হোক। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হলে, প্রতিবাদের স্বর আরও তীব্র হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটিতে যোগ না দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভরত শিক্ষকদের একাংশ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের বক্তব্য, ‘যোগ্য’ হয়েও তাঁদের চাকরি বর্তমানে সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হিসাব অনুসারে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি যোগ্য শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা মাধ্যমিকের ডিউটিতে যোগ না দিলে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনাতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ— এই তিন প্রতিষ্ঠান আদালতে তিন ধরনের বক্তব্য তুলে ধরছে। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন এসএলএসটির ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। তবে বুধবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের কর্মসূচি শুরুর মুখেই পুলিশ পদক্ষেপ করে। ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে থেকে তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এসএলএসটি শিক্ষকদের তরফে কর্মসূচির বিষয়ে আগাম কিছু জানানো হয়নি পুলিশকে।
ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “কর্মসূচির কথা আমাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। তাঁরা জোর করে পাঁচশো জন এখানে চলে এসেছেন। আধ ঘণ্টা ধরে যানজট তৈরি করা হয়েছে। ওঁদের সঙ্গে আমরা দফায় দফায় কথা বলেছি। ওঁরা কখনও রাজি হচ্ছেন, কখনও রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের নিজেদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। আমরা দেখলাম তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। সেই কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে জায়গাটি ফাঁকা করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
We hate spam as much as you do