ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবাও এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ইন্দ্রানুজের বাবা বলেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরী দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এই দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি জানিয়েছেন, ভিসি, প্রোভিসি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে। যে কোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জট কাটবে। সেই সঙ্গেই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হোক।
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলে, রবিবার জোড়া মিছিল
০৭ মার্চ ২০২৫
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। শুক্রবার দুপুর ৩টেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি নাগরিক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। মিছিলে শামিল হওয়ার কথা বাম, অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সদস্যদের।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি একের পর এক পড়ুয়ার বাড়িতে পুলিশের চিঠি যাচ্ছে। এটার প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি। অভয়া মঞ্চ সহ একাধিক মঞ্চ, শিক্ষকদের একাংশও এই মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই মিছিল।
ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবাও এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ইন্দ্রানুজের বাবা বলেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরী দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এই দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি জানিয়েছেন, ভিসি, প্রোভিসি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে। যে কোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জট কাটবে। সেই সঙ্গেই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হোক।
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডের পর থেকেই অরবিন্দভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা ধর্না অবস্থান করছেন লাগাতার। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। আলোচনার মাধ্য়মেই জট কাটতে পারে বলে তারা আশাবাদী।
এদিকে যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজের বাবা। আলোচনার মাধ্য়মেই সমস্যা মিটতে পারে বলে তিনি আশাবাদী। তবে সেই আলোচনায় ছাত্রছাত্রীদেরও যাতে শামিল করা হয় সেব্যাপারেও মতামত দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তখনই ব্রাত্যর গাড়ির উপর বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। সেই সময় ব্রাত্যর গাড়ির ধাক্কায় ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্র আহত হন। এরপর পরিস্থিতি পুরো ঘুরে যায়। ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে জোরালো
আওয়াজ তোলেন ছাত্রছাত্রীদের। তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন তারা। তবে এবার শেষ পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কি না সেটাই দেখার।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে পরীক্ষাতেও বসতে চাইছেন না পড়ুয়াদের একাংশ। কার্যত অচলাবস্থা চলছে যাদবপুরে। তবে এসবের মধ্য়েই ইন্দ্রানুজের চোখের পাশের সেলাই কাটা হয়েছে বলে খবর।
অন্য দিকে, রবিবার শহরের দু’প্রান্তে জোড়া মিছিলের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা। একটি মিছিল শুরু হবে হাজরা থেকে, অপরটি ধর্মতলা থেকে। মিছিল দু’টি অ্যাকাডেমির সামনে শেষ হওয়ার কথা।
আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি (জিবি)-র বৈঠকে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই বৈঠকের পর আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানান, সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-কে বৈঠকে বসতে হবে। ইসি বৈঠকে সদর্থক পদক্ষেপ করা না-হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগকে স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। অরবিন্দ ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের অফিস-সহ বিভিন্ন দফতর ওই দিন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তা বিবেচনা করে ‘কন্ট্রোলার অফ এগ্জ়ামিনেশন’ অফিস এবং বৃত্তি বিভাগ (স্কলারশিপ সেকশন)-কে এর আওতায় রাখা হচ্ছে না।
We hate spam as much as you do