এর আগে অবশ্য বেলারুশে বৈঠকের জন্য রুশ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেন৷ এর পরই ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় রাশিয়া৷ ইউক্রেনের দাবি ছিল ওয়ারশো, ব্রাতিসলাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল এবং বাকুর মধ্যে যে কোনও একটি শহরে বৈঠক করতে হবে৷ কিন্তু তার পর যুদ্ধের ঝাাঁঝ বেড়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাজী হল।
বেলারুশেই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রাশিয়া
অবশেষে কি আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘটতে চলেছে? প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কিন্তু এবার রুশ প্রেসিডেন্ট নিজেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব রাখলেন জেলেনস্কির কাছে। আর তাতে রাজিও জেলেনস্কি। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুস। রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর দু'টো নাগাদ রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়, বেলারুসে আলোচনা করা যেতে পারে।
শান্তি বৈঠকে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, শর্ত ছাড়াই আলোচনায় রাজি আছেন তাঁরা। যদিও এরই মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, ”আমরা সম্মত হয়েছি। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল ইউক্রেনীয়-বেলারুশিয়ান সীমান্তে পূর্ব শর্ত ছাড়াই রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবে।” এদিকে, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘও। সোমবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ চলমান সঙ্কট নিয়ে জরুরি একটি বৈঠক করবে।
এই প্রস্তাবের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের তরফ থেকেও উত্তর দেওয়া হয়।
এর আগে অবশ্য বেলারুশে বৈঠকের জন্য রুশ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেন৷ এর পরই ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় রাশিয়া৷ ইউক্রেনের দাবি ছিল ওয়ারশো, ব্রাতিসলাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল এবং বাকুর মধ্যে যে কোনও একটি শহরে বৈঠক করতে হবে৷ কিন্তু তার পর যুদ্ধের ঝাাঁঝ বেড়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাজী হল।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের আকাশপথ। রবিবার সকালে অবশেষে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হল বলে খবর।
রবিবার পূর্ব ইউরোপের একটি টিভি চ্যানেল তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে খবরটি প্রকাশ করে। শনিবার রাতভর ইউক্রেনের একাধিক শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। প্রথম থেকেই রুশ বাহিনীর নজরে ছিল ইউক্রেনের গ্যাসের পাইপলাইন এবং তেল ভাণ্ডার। রবিবার সকালে খারকভ শহরের গ্যাস পাইপলাইন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে রাশিয়া। বিস্ফোরণও ঘটেছে গোটা এলাকায়, এমনটাই খবর। কিয়েভের তেলভাণ্ডারেও আঘাত হেনেছে তারা। রবিবার বেলার দিকে খারকভ শহরও মস্কো বাহিনী দখল করেছে বলে দাবি করেছে রুশ মিডিয়া। যদিও সে কথা মানতে নারাজ ইউক্রেন।
We hate spam as much as you do