দিল্লি পুরনির্বাচন নিয়ে তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভোটাররা যদি জনপ্রতিনিধিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারতেন, তবে তাঁদের ভোট দেওয়ার ধরনেও পরিবর্তন ঘটত।’ একজন বিধায়ক জনসাধারণের উন্নতিতে কোনও কিছু করছেন। আর, জনগণ তার প্রত্যক্ষ সুফল পাচ্ছেন, এমন কিছুই প্রায় ভারতে ঘটে না। এমনটাই জানান এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষভাবে সুফল না-পাওয়ায় নীচুতলার নেতারা ভোটারদের কাছে বিশেষ একটা গুরুত্ব পান না। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের কাঠামোগত সমস্যা।
গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগে MLA/MP এর এলাকা কমিয়ে সংখ্যা বাড়ুক! মত নোবেলজয়ী অভিজিতের
November 5, 2022
গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে প্রশাসনের মাথা ছোট হতে হবে, মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের।
ভারতের গণতন্ত্রকে সঠিক ভাবে কার্যকর করতে হলে, শাসন ব্যবস্থার মূলকেন্দ্রকে ছোট হতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের নকশার মৌলিক ত্রুটি হল, রাজ্যগুলো বেশ বড়।’ বিচারপতি সুনন্দা ভান্ডারি স্মারক ২৭তম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল- ‘তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র: কী কাজ করে, কী করে না এবং কেন?’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যা ব্রিটেনের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। অথচ, ভারতের পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ৫৪৩। অথচ, ব্রিটেনের পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ৬৫৬।’ নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের মতে, ভারতে একেকজন জনপ্রতিনিধির অধীনে বিশাল এলাকা। এমনও হয় যে ভোটাররা জনপ্রতিনিধির ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
দিল্লি পুরনির্বাচন নিয়ে তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভোটাররা যদি জনপ্রতিনিধিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারতেন, তবে তাঁদের ভোট দেওয়ার ধরনেও পরিবর্তন ঘটত।’ একজন বিধায়ক জনসাধারণের উন্নতিতে কোনও কিছু করছেন। আর, জনগণ তার প্রত্যক্ষ সুফল পাচ্ছেন, এমন কিছুই প্রায় ভারতে ঘটে না। এমনটাই জানান এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষভাবে সুফল না-পাওয়ায় নীচুতলার নেতারা ভোটারদের কাছে বিশেষ একটা গুরুত্ব পান না। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের কাঠামোগত সমস্যা।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলিও বক্তৃতা দেন। তিনি বিচারপতি ভাণ্ডারির সম্পর্কে বলেন। স্মৃতিচারণায় বিচারপতি কোহলি বলেন, ‘খুব কম লোকই জানেন যে বিচারপতি ভাণ্ডারি বিয়ের পর আইন কলেজে পড়তে এসেছিলেন। যখন তিনি দুই সন্তানের মা, সেই সময় তাঁর নাম মহারাষ্ট্র বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছিল।’ বিচারপতি ভাণ্ডারি দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় ৫২ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।
We hate spam as much as you do