দুপুরবেলায় কলকাতার রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখমও হলেন দুই ব্যক্তি। মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের বখরা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের মধ্যেই আচমকা গুলি চলে সেখানে।
আবার বাঁশদ্রোনীতে সিন্ডিকেট বিবাদে রাস্তায় গুলি! গুলিবিদ্ধ দুই
সিন্ডিকেট নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘাতের মধ্যে আচমকাই গুলি চলে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
দুপুরবেলায় কলকাতার রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখমও হলেন দুই ব্যক্তি। মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের বখরা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের মধ্যেই আচমকা গুলি চলে সেখানে। ঘটনাচক্রে, সোমবারই লেক গার্ডেন্সে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির কাছে সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার বেধেছিল। সেই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত সাংসদকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। যে বাড়ি ভাঙা নিয়ে বিবাদ চলছিল, সেই বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে পুলিশকে অনুরোধ করেন সৌগত।
তারও আগে বৃহস্পতিবার রাতে বেহালায় সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চড়ক মেলার দখলদারিকে কেন্দ্র করে হওয়া ওই ঘটনায় জখম হন বেশ কয়েক জন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের প্রকাশ্যে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য প্রকাশ্যে। এ বার ঘটনাস্থল বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুর। এমনিতে শান্তিপূর্ণ এলাকা বলে পরিচিত ব্রহ্মপুর। তবে গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে জমি বিক্রি এবং আবাসন নির্মাণের কাজ বেশ জোরদার শুরু হয়েছে। সেই সূত্রে সিন্ডিকেটের রমরমাও বেড়েছে এলাকায়।
মঙ্গলবার ১৯/০৪ এর ঘটনায় জখম হন মলয় দত্ত এবং বিশ্বনাথ সিংহ নামে দুই ব্যক্তি। এই দু’জন ওই সিন্ডিকেট গোষ্ঠী দু’টির সদস্য নন বলে সূত্রের খবর। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে মলয়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে। বিশ্বনাথকে নিয়ে যাওয়া হয় পিয়ারলেসে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মলয়ের বুকের ডান দিকে লেগেছে গুলি। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। চিকিৎসা চলছে। অন্য দিকে, বিশ্বনাথেরও গুলি লেগেছে বুকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রহ্মপুর এলাকাটিতে উত্তম মণ্ডল নামে এক দাগী অপরাধীর দীর্ঘ দিনের প্রতিপত্তি। উত্তমের গোষ্ঠীর সঙ্গেই সংঘাত বাধে আর একটি সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর। যার নেতার নাম বাচ্চা। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে উত্তমের নাম পুলিশের খাতায় দাগী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তমের খোঁজ করছে পুলিশ। কিন্তু সূত্রের খবর উত্তম কোথায় আছেন, তা পুলিশের জানা নেই। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি।
We hate spam as much as you do