ফেসবুকে এক পোস্টে সেলিম আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বছর ঈদের উৎসব পালন করবেন না তিনি। ‘শহিদ’ পরিবারের সঙ্গে ঈদের দিনটি কাটানোর কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার আনিস খানের বাড়িতে এসেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। একসঙ্গে বসে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বললেন মহম্মদ সেলিম, শতরূপ ঘোষ, নওশাদ সিদ্দিকীরা।
পবিত্র ঈদের দিন , ‘ইনসাফের লড়াইয়ে’ আনিসের বাবার পাশে সেলিম
চলে গেছে ছেলেটা। ছেলেটা হলো আনিস খান। বাবা মায়ের বুক খালি। এখন তাই ঈদের উৎসবে মনে আনন্দ নেই। ইনসাফ চাই। খুনিদের বিচার চাই। এই দাবীতে বামপন্থীরা রাস্তায় লড়াইয়ে নেমেছে। এরই মধ্যে চলে এসেছে এ বছরের ঈদ
কিন্তু এই বছর ঈদের উৎসব পালন করছেন না সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । ঈদের দিনটি আমতার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবারের সঙ্গেই কাটালেন তিনি। পাশে দাঁড়ালেন পুত্রহারা শোকার্ত পরিবারের। সঙ্গে ছিলেন শতরূপ ঘোষও।
ফেসবুকে এক পোস্টে সেলিম আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বছর ঈদের উৎসব পালন করবেন না তিনি। ‘শহিদ’ পরিবারের সঙ্গে ঈদের দিনটি কাটানোর কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার আনিস খানের বাড়িতে এসেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। একসঙ্গে বসে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বললেন মহম্মদ সেলিম, শতরূপ ঘোষ, নওশাদ সিদ্দিকীরা।
আনিসের বাবাপর সঙ্গে দেখা করার পর ফেসবুকে সেলিম লিখেছেন, “আনিস খানের খুনের ইনসাফের দাবি আদায় করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব, আইনের আদালতে এবং জনতার আদালতে।” উল্লেখ্য, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পর থেকেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন বাম ছাত্র-যুব নেতারা। আনিস খানের মৃত্যু কীভাবে হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এদিকে আনিস খানের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। এরই মধ্যে ঈদের দিন আমতার মৃত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।
উল্লেখ্য, আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিট। কিন্তু রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের ভূমিকায় একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আনিস খানের বাবা। তাঁর দাবি, ছেলের মৃত্যুর তদন্ত করুক সিবিআই। আনিস খানের মৃত্য়ুর রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশের উর্দি গায়ে লোক ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। আনিসকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। আনিস খানের মৃত্যুর পর সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দলও আমতায় গিয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার ফের একবার আনিসের বাড়িতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
We hate spam as much as you do