কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে ধন্যবাদ জানান বুদ্ধিজীবীরা। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "ইডি এবং সিবিআইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু, এদের সম্পর্কে কখনও কখনও আমাদের একটি নার্ভাস লাগে। তখন বুঝতে পারি যে সেটিং হয়ে গিয়েছে। আসল অপরাধীদের এড়িয়ে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বও যে ব্যাপারটা ঘটেছে, যতটুকু উন্মোচন হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই আদালত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অভিনন্দন জানাই। তারা সত্যের একটি আংশিক চেহারা আমাদের সামনে উন্মোচন করেছে। তবে লড়াইটা এখনও অনেক বাকি।
বাংলায় ফের 'পরিবর্তনের ডাক' বুদ্ধিজীবীদের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ!
Jul 30, 2022
SSC Scam এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারি ইস্যুতে এবার পথে বিদ্বজ্জনেরা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, বাম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যরা । মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। একইসঙ্গে ফের একবার বাংলার পরিবর্তনের ডাক দিলেন বুদ্ধিজীবীরা ।
বাংলায় ফের একবার 'পরিবর্তনের ডাক' শোনা গেল বিদ্বজ্জনদের গলায়। নন্দীগ্রাম ইস্যুর সময় যারা ছিলেন বিরোধী পক্ষে, সেই রাজনৈতিক দলের (বর্তমান শাসক দল) বিরুদ্ধে এবার পথে নামলেন রাজ্যের একাধিক বুদ্ধিজীবী। শনিবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ইস্যুতে মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হন তাঁরা। জমায়েতে ছিলেন বাম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী সিনহা, চন্দন সেন সহ বিমল চক্রবর্তী রজত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিদ্বজ্জন। সেখান থেকেই তাঁরা বাংলায় ফের একবার পরিবর্তনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন।
এদিন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে ধন্যবাদ জানান বুদ্ধিজীবীরা। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "ইডি এবং সিবিআইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু, এদের সম্পর্কে কখনও কখনও আমাদের একটি নার্ভাস লাগে। তখন বুঝতে পারি যে সেটিং হয়ে গিয়েছে। আসল অপরাধীদের এড়িয়ে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বও যে ব্যাপারটা ঘটেছে, যতটুকু উন্মোচন হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই আদালত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অভিনন্দন জানাই। তারা সত্যের একটি আংশিক চেহারা আমাদের সামনে উন্মোচন করেছে। তবে লড়াইটা এখনও অনেক বাকি। এখানে কোনও ব্যক্তি কিংবা চরিত্রের ব্যাপার নয়, একটি প্রশাসন, একটি দল এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যারা গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবাংলাকে শাসন করছে। তাদের মজ্জায় মজ্জায় দুর্নীতির ঘুঁণ ধরে গিয়েছে। সেটা সকলের কাছে স্পষ্ট।"
একইসঙ্গে নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন পবিত্র সরকার। তিনি বলেন, "ছেলেমেয়েদের প্রলোভিত করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দুর্নীতির শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে। গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এমনকী কলেজ সার্ভিসেও দুর্নীতি হয়েছে। অজস্র দুর্নীতি হয়েছে। তবে এই দুর্নীতি কেবল শিক্ষাক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, দমকল কর্মী নিয়োগ, খাদ্য সরবরাহ কর্মী নিয়োগেও কাটমানি, তোলাবাজি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে এর একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এটা কোনও একজন লোকের কাজ নয়। অসাধু কর্মচারিদের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতি হচ্ছে।" শিক্ষাবিদের আরও বক্তব্য, "বাঙালির কাছে আমাদের প্রশ্ন। যারা ভেবেছিলেন এই দলকে সরকারে আনলেই উই উইল লিভ হ্যাপিলি এভার আফটার। তাঁদেরকেই বলছি পশ্চিমবাংলাকে আবার একটি পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। মানুষ সচেতন হলেই, আসতে আসতে বিশাল পরিবর্তন আসবে। আর এই রাজনৈতিক দলকে ইতিহাসের আবর্জনার স্তূপে নিক্ষেপ করতে পারব।"
সাংবাদিকদের সামনে CPIM-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "নাগরিক সমাজ, শিক্ষিত সচেতন মানুষ এতদিন নীরব ছিলেন। আইনজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলা উন্মোচিত হয়েছে।" পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে 'ষড়যন্ত্র'-এর তত্ত্ব খাঁড়া করছেন, সেই ষড়যন্ত্র আসলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা বলেও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।
We hate spam as much as you do