ভারতীয় গণনাট্য সংঘের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক দিব্যেন্দু চ্যাটর্জি , রাজ্যসভার সাংসদ সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা গভীর শোকপ্রকাশ করেন ।
নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রের প্রয়ান,নিঃশব্দ শেষকৃত্য ছিল তাঁর ইচ্ছাপত্র
প্রয়াত বাংলার বিখ্যাত নাট্যকার Shaoli Mitra। রবিবার দুপুর তিনটের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র বাংলার নাট্যজগতের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা নাট্য-সংস্কৃতি মহলে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই শাঁওলি মিত্রের শেষ ইচ্ছে ছিল, মৃত্যুর পর যেন কোনও আড়ম্বর না করা হয়।
বাবার পথে হেঁটে ২০২০ সালেই তৈরি করে রেখেছিলেন নিজের শেষ ইচ্ছাপত্র। তাঁর সেই ইচ্ছা পত্রকে সম্মান জানিয়ে অন্ত্যেষ্টির পরই জানানো হয় তাঁর মৃত্যু সংবাদ। সকলের অগোচরে, শুধু মাত্র ঘনিষ্ঠজনের উপস্থিতিতে এদিন দুপুরেই কিরীটি মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।সবার অগোচরেই পঞ্চভূতে বিলীন শাঁওলি মিত্র।
২০০৩ সালে সঙ্গীত-নাটক অকাডেমি পুরস্কার পান শাঁওলি মিত্র। ২০০৯ সালে পান পদ্মশ্রী। ২০১২ সালে বঙ্গ-বিভূষণে ভূষিতা হন তিনি। ২০১১ সালে রাজ্যের রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন শাঁওলি মিত্র। মহাশ্বেতা দেবীর পদত্যাগের পর, ২০১২ সালে বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি পদের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে।
এ প্রজন্মের খুব কম জনই তাঁকে 'নাথবতী অনাথবৎ' পারফর্ম করতে দেখেছে। তাঁর পাঠে এটি হয়ে উঠত আরও অনবদ্য। প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ সিনেমাতেও কাজ করেছেন বরেণ্য নাট্যকার শম্ভু মিত্রের কন্যা। তাঁর অভিনয়ে কালজয়ী হয়ে ওঠে ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’,‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’-এর মতো নাটকগুলি। রামায়ণের এই কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র সীতাকে মঞ্চে উপস্থাপনা করেছিলেন তিনি। মানস কন্যা অর্পিতা ঘোষের অনুরোধে তৈরি করেন 'সীতা কথা'। শাঁওলি মিত্রের মৃত্যুতে শোকার্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
ভারতীয় গণনাট্য সংঘের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক দিব্যেন্দু চ্যাটর্জি , রাজ্যসভার সাংসদ সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা গভীর শোকপ্রকাশ করেন ।
We hate spam as much as you do