মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রবিবার হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাম প্রার্থী পেড্র ক্যাস্তিলোর পক্ষে ৫০.২% ভোট নিশ্চিত হয়ে গেল । যেখানে দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী কেইকো ফুজিমরি এর পক্ষে ৪৯.৭ % ভোট পড়েছে ।
পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাম প্রার্থী পেড্র ক্যাস্তিলো জয়ের পথে
লাতিন আমেরিকায় আবার বামপন্থীদের অগ্রগতি বিশেষভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। চিলি , বলিভিয়া , ব্রাজিলের পর পেরু । মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রবিবার হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাম প্রার্থী পেড্র ক্যাস্তিলোর পক্ষে ৫০.২% ভোট নিশ্চিত হয়ে গেল । যেখানে দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী কেইকো ফুজিমরি এর পক্ষে ৪৯.৭ % ভোট পড়েছে । ইতিমধ্যে বৈধ ভোটের ৯২.৩% গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে । পেরুর ১৭ মিলিওন মতদাতা ভোট দিয়েছেন যা দেশের মোট ভোটারের ৭৬.৯% ।
(বামপন্থী দল এর লোগো ) পেড্র ক্যাস্তিলো এর সমর্থকদের উল্লাস-----
এক বিরাট রাজনৈতিক ঝড়ের পর এই ভোট হল । গত বছর দুই প্রেসিডেন্ট আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ।
ক্যাস্তিলো বলেছেন পেরুর গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের রায় । অন্যদিকে ফুজিমরি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন ।
ক্যাস্তিলোর বক্তব্য “ আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি যত্নবান হতে হবে , আমাদের ভালোবাসার পেরুর ভিতর ও বাইরের প্রতিটি ভোটে তার প্রকাশ হয়েছে । আমরা থামতে পারব না । এই ঐতিহাসিক জয় এক নতুন দেশের জন্ম দিতে চলেছে”
দখিন পন্থী দলের প্রার্থী ফুজিমরি এর লোগো
৪৬ বছর বয়সী Fuerja popular দলের প্রার্থী দক্ষিণ পন্থী ফুজিমরি , সমস্ত জনপ্রিয় দলের বামপন্থী জোট ক্যাস্তিলোর দল peru libre “মুক্ত পেরু” এর প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রে হারের জন্য কারচুপির অভিযোগ আনলেন । গণনার দেরীকে , তার প্রচারের উপযুক্ত পরিণাম না হওয়ার জন্য দায়ী করেন ।
যদিও দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছে এক আন্তঃঅ্যামেরিকান অবসারভার দল ভোট গণনা একেবারে সঠিক ভাবেই হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন ।
নির্বাচনে গণনার একেবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত বামপন্থী ক্যাস্তিলো লিমাতে তার সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখতে বলেন ।
কেইকো ফুজিমরি , ব্যাপক দুর্নীতি ও গণহত্যার দায়ে বর্তমানে ২৫ বছরের সাজা প্রাপ্ত পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমরির মেয়ে । বর্তমানে কেইকো ফুজিমরির বিরুদ্ধেও নির্বাচনে প্রচারের জন্য প্রচুর বেআইনি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ এসেছে ।
কোভিড বিধ্বস্ত পেরুর ভোটে গ্রামএর দারিদ্র আর শহরের ধনীর মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । এখন দেশে খুব খারাপ অর্থনৈতিক নিম্নগামিতার ফলে পেরুতে নতুন করে ১০% মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে গেছেন । হাজার হাজার নতুন করে বেকার হয়ে যাওয়া মানুষকে শহর ছেড়ে প্রত্যন্ত গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছে ।
We hate spam as much as you do