শুক্রবারের এই কনভেনশনে স্বল্প বক্তৃতায় সন্দেশখালির মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। তিনি বলেন, “২০১১ সালের পর থেকেই সন্দেশখালির মা, বোনেদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বিধানসভায় এই অত্যাচারের কথা বলার চেষ্টা করলেও আমাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সময় যত এগিয়েছে লুট হয়েছে জমি, উচ্ছেদ হয়েছেন বর্গাদার। মা, বোনেদের ইজ্জত নিয়ে দুর্বৃত্তেরা খেলা করেছে। বামপন্থার শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণেই সন্দেশখালির মা এবং বোনেরা এত দিন ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাননি। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাঁদের। সন্দেশখালি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং আমাদের পথ দেখাচ্ছে।”
‘‘সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব! সেলিমের মন্তব্য
০৩ মার্চ ২০২৪
‘রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির বিরুদ্ধে’ বামফ্রন্টের গণকনভেনশন। আগামী সপ্তাহে একাধিক গণফ্রন্টকে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। গতকাল শিয়ালদহের কাছে মৌলালি যুব কেন্দ্রে আয়োজিত এই কর্মী কনভেনশনে বক্তৃতা করেন সিপিআই নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা রণেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমরা।
দেশ ও রাজ্যের চলমান নানা প্রশ্নের উপরে এ দিনই মৌলালি যুব কেন্দ্রে গণ-কনভেনশনে ছিলেন বামফ্রন্টের সব দলের নেতৃত্ব। সেখা্নে আন্দোলনের প্রস্তাব পেশ করেছেন বিমানবাবু। আর সেলিম বলেছেন, ‘‘মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে লুট করা যায় না। আবাসন থেকে শুরু করে গ্রাম, কেউ এখন সুরক্ষিত নয়। আবাসন ঘিরে ফেলে মিড-ডে মিলের আন্দোলনকারীদের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে গিয়েছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। দেশ জুড়ে বিজেপি কী করছে, তা-ও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব! মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে হবে বামেদেরই।’’
শুক্রবারের এই কনভেনশনে স্বল্প বক্তৃতায় সন্দেশখালির মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। তিনি বলেন, “২০১১ সালের পর থেকেই সন্দেশখালির মা, বোনেদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বিধানসভায় এই অত্যাচারের কথা বলার চেষ্টা করলেও আমাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সময় যত এগিয়েছে লুট হয়েছে জমি, উচ্ছেদ হয়েছেন বর্গাদার। মা, বোনেদের ইজ্জত নিয়ে দুর্বৃত্তেরা খেলা করেছে। বামপন্থার শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণেই সন্দেশখালির মা এবং বোনেরা এত দিন ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাননি। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাঁদের। সন্দেশখালি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং আমাদের পথ দেখাচ্ছে।”
নিজের বক্তৃতায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একশো দিনের টাকায় দু্র্নীতির অভিযোগও করেন নিরাপদ। সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের দাবি, “একশো দিনের কাজের টাকায় দুর্নীতি হচ্ছে। প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত হবেন, বাকি টাকা চলে যাবে বেআইনি জব কার্ড হোল্ডারদের পকেটে। সেই টাকা ভোটে খরচ করবে তৃণমূল।”
We hate spam as much as you do