Tranding

05:05 PM - 01 Dec 2025

Home / World / ইমরান খান হেরে গেলেন,পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শেহবাজ শরিফ!

ইমরান খান হেরে গেলেন,পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শেহবাজ শরিফ!

পাকিস্তান পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে স্পিকার আসাদ কায়সার অন্তত চারবার অধিবেশন মুলতবি করেছিলেন। একটা সময় তো তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোটাভুটির আয়োজন করতে পারবেন না। তার পরই বিরোধীরা ইমরান খানকে গ্রেফতারের দাবি তোলে।

ইমরান খান হেরে গেলেন,পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শেহবাজ শরিফ!

ইমরান খান হেরে গেলেন,পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শেহবাজ শরিফ!  

 

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ।

দিনভর নাটক। শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে হার ইমরান খানের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি হারালেন ইমরান খান। আস্থা ভোটে সব ভোট পড়েছে পাকিস্তানের কাপ্তানের বিরুদ্ধে।

পাকিস্তান পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে স্পিকার আসাদ কায়সার অন্তত চারবার অধিবেশন মুলতবি করেছিলেন। একটা সময় তো তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোটাভুটির আয়োজন করতে পারবেন না। তার পরই বিরোধীরা ইমরান খানকে গ্রেফতারের দাবি তোলে।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার ইমরানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করার পর ইস্তফা দেন। স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন কে! এর পরই নতুন স্পিকারের পদে বসেন আয়াজ সাদিক। তিনি ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নেন। শেষমেশ আস্থা ভোট শুরু হয় মাঝরাতে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট পিছিয়ে দিতে সবরকম কৌশল অবলম্বন করেছিল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। শেষ পর্যন্ত মাঝরাতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল মাঝরাতেই আদালতের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।

 

 

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের বাইরে যদিও খুব কমই পরিচিত তিনি কিন্তু কার্যকরী প্রশাসক হিসেবে পাকিস্তানে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে শেহবাজের। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ, ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার ফেলার জন্য বিরোধীদের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক ডামাডোল শেষে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নিজের মেয়াদও সম্পূর্ণ করতে পারলেন না ইমরান খান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নওয়াজ শরিফের উলটো দিকেই অবস্থান শেহবাজের। ২২ কোটি মানুষের এই দেশে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনাই। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বেইজিংয়ের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় চলা প্রকল্পগুলিতে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন শেহবাজ। তখন থেকেই রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে শেহবাজ শরিফের প্রশাসনিক দক্ষতা।

গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাত্কারে শেহবাজ জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের পক্ষে ভাল বা খারাপ নির্ভর করছে আমেরিকার সঙ্গে ভাল সম্পর্কের উপর, ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইমরান খানের যে বৈরিতা রয়েছে তা পাকিস্তানের পরিপন্থী।

 

১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শেহবাজকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়। ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ২০১৭ সালে পানামা নথি প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পদ গোপন করার অভিযোগে নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্ত করার পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পার্টির প্রধান হন শেহবাজ, প্রবেশ করেন জাতীয় রাজনীতির আঙিনায়।

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do