২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত NCTE-র সদস্য ছিলেন তিনি। বিএড ও ডিএলএড কলেজের এই NCTE-র অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এই অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে গেলে শিক্ষা দফতরের NOC প্রয়োজন হয়। সেই NOC-র জন্য বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক ও পার্থ। যার মোট পরিমাণ ২০ কোটি বলে আগেই জানিয়েছে ইডি।
অনুমোদন দিতে বিএড কলেজপিছু পার্থ ৬ - ৮ লক্ষ, মানিক ২-৫ লক্ষ
10 Dec 2022,
বিএড ও ডিএলএড কলেজের এই NCTE-র অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এই অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে গেলে শিক্ষা দফতরের NOC প্রয়োজন হয়। সেই NOC-র জন্য বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক ও পার্থ। বেআইনি বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন দিতে মোটা টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় এমনই জানিয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ মানিক ভট্টাচার্য। গত বুধবার মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, অনুমোদনের জন্য বিএড কলেজপিছু ৬ – ৮ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর মানিকের পকেটে যেত ২ – ৫ লক্ষ টাকা।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, জেরায় তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত NCTE-র সদস্য ছিলেন তিনি। বিএড ও ডিএলএড কলেজের এই NCTE-র অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এই অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে গেলে শিক্ষা দফতরের NOC প্রয়োজন হয়। সেই NOC-র জন্য বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক ও পার্থ। যার মোট পরিমাণ ২০ কোটি বলে আগেই জানিয়েছে ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার PMLA আদালতে মানিক ভট্টাচার্য, তার ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে কী ভাবে মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতি করেছেন তা বিস্তারে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। ইডি ও সিবিআই সূত্রে খবর, তাপস মণ্ডল সব বলে দেওয়ার পর উপায়ান্তর না দেখে তদন্তে সহযোগিতা করতে শুরু করেছেন মানিকও।
We hate spam as much as you do