Tranding

02:52 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / ‘ওঁর মতো নোংরা লোক আমি দেখিনি,…’, সন্দীপের কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার

‘ওঁর মতো নোংরা লোক আমি দেখিনি,…’, সন্দীপের কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার

বায়োমেডিক্যালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে আর্থিক দুর্নীতি, বেআইনি মৃতদেহ ব্যবহার- প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কী না কী অভিযোগ রয়েছে! নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুুপার হিসাবে আখতার আলি দীর্ঘদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। এক গুচ্ছ অভিযোগ তুলে তিনি আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আরজি কর পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে

‘ওঁর মতো নোংরা লোক আমি দেখিনি,…’, সন্দীপের কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার

‘ওঁর মতো নোংরা লোক আমি দেখিনি,…’, সন্দীপের কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার


 Aug 23, 2024 


 আরজি করে পরিবেশ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। হাসপাতালের অন্দরেই কী কী ঘটে, তা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়। আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আগেই প্রকাশ্যে এনেছেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। বাংলা সংবাদ মাধ‍্যমের এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে আরও বিস্ফোরক কথা বলেছেন তিনি। আরজি করের অন্দরেই নাকি বাইরে মেয়ে নিয়ে আসা হত, চলত মচ্ছব! তিনি বলেন, “আরজি করে পরিবেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর পরিবেশ খারাপ হওয়ারও ছিল। যদি জুনিয়র ডাক্তারকে বসিয়ে মদ খাওয়ানো হয়, জুনিয়র ডাক্তাররা যদি গেস্ট হাউজ়ে বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসে, তাহলে পরিবেশ কীভাবে ঠিক থাকবে।”

বায়োমেডিক্যালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে আর্থিক দুর্নীতি, বেআইনি মৃতদেহ ব্যবহার- প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কী না কী অভিযোগ রয়েছে!  নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুুপার হিসাবে আখতার আলি দীর্ঘদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। এক গুচ্ছ অভিযোগ তুলে তিনি আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।  আরজি কর পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু তখনই আখতার আলি বুঝে গিয়েছে, অত্যন্ত প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু কীভাবে সন্দীপ ঘোষ এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠলেন?

আখতার আলি বলেন, “সন্দীপ ঘোষ আসার আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ায় ১ নম্বর মেডিক্যাল কলেজ ছিল। আমি পাঁচ জন প্রিন্সিপ্যাল ৬ জন মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, ভাইস প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু ওঁর মতো নোংরা লোক আমি দেখিনি। ওঁ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকেই  নোংরা রূপ দেখাতে শুরু করেন।” তিনি আরও বলেন, “প্রথমে ছাত্রদের পেছনে লাগা, ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, ফেল করানো, তোলাবাজি, একের পর এক পর্দাফাঁস হয়। আমি যে দুর্নীতিগুলো দেখেছিলাম, আমি আওয়াজ তুলি, বিভিন্ন দফতরে জানাই। আমি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছিলাম।”


কীভাবে বুঝেছিলেন সন্দীপ প্রভাবশালী? তাঁর জন্য নাকি নিয়মই বদলে ফেলেছিল সরকার। আখতার আরও বলেন,  “আমি ১৬ বছর ওই মেডিক্যাল কলেজে দিবারাত্র থেকেছি। ওঁ কিছু ছাত্রকে জেন্ডার হ্যারাজমেন্টে ফাঁসিয়ে দিয়েছিলেন। ওঁ কতটা প্রভাবশালী, তার উদাহরণ দিই। ওঁকে যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়, তখন ওর ডিমোশন হয়, ওঁ তখন অধ্যাপক হন। প্রফেসর থেকে আবার যখন প্রিন্সিপ্যাল পোস্টে দেওয়া হয়, তখন নিয়ম হচ্ছে অ্যাজ় পার গ্যাজেট নোটিফিকেশন রিক্রুটমেন্ট রুলস সিলেকশন কমিটি হবে। আবার ইন্টারভিউ হবে, বিজ্ঞাপন হবে। ওঁর জন্য সরকার নিজের নিয়মই বদলে দিত।” এটার পিছনে একটা চক্র রয়েছে। এর পিছনে বড় মাথাদের হাত রয়েছে।  আখতার আশাবাদী আরজি কাণ্ড সামনে আসার পর এই সব দুর্নীতির বিচার হবে। এখন আদালতের ওপর ভরসা রেখেছেন তিনি।

Your Opinion

We hate spam as much as you do