মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা ক্রমাগত চেষ্টা করলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং অব্যাহত হামলার কারণে তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। শুধু ত্রাণ সংগ্রহের সময়েই গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৫৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৭ জন।
৬৬০০০ গাজাবাসী হত্যার পর ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, আর সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে মানবিক বিপর্যয়। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় একদিনে অন্তত আরও ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এভাবে চলমান সংঘাতের ফলে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার ৬০ জনে। মূলত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানই এই ভয়াবহ প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বার্তাসংস্থা আনাদোলু-র আলাদা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের “গণহত্যামূলক হামলায়” অন্তত ৬৬ হাজার ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৬ জন আহত হয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ৫০ জনের মরদেহ পৌঁছেছে এবং নতুন করে ১৮৪ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা ক্রমাগত চেষ্টা করলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং অব্যাহত হামলার কারণে তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। শুধু ত্রাণ সংগ্রহের সময়েই গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৫৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৭ জন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল আবারও গাজায় হামলা জোরদার করেছে। এই সময়ের মধ্যে ১৩ হাজার ১৮৭ জন নিহত এবং ৫৬ হাজার ৩০৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তেলআবিব জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত ভঙ্গ করেছে।
এর আগেও আন্তর্জাতিক মহল থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। পাশাপাশি, ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।
We hate spam as much as you do