মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, "গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত সরকার যে ঘোষণা করেছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।"
মোদী সরকারের সিএএ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উদ্বেগ ! মৌলিক অধিকার কি বিপন্ন হতে পারে?
Friday, March 15, 2024,
লোকসভা ভোটের আগে সিএএ আইন লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে।তবে শুধু রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই সিএএ সীমাবদ্ধ নেই, কূটনৈতিক স্তরেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উপর নজর রেখেছে রাষ্ট্র সংঘ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সিএএ শুধুমাত্র ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় নয়, একইসঙ্গে এশিয়ার তিন দেশও এরসঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ,পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান এই তিন দেশের সংখ্যালঘু শরনার্থীদের শুধু আশ্রয় নয় একইসঙ্গে নাগরিকত্বও দেবে ভারত সরকার। বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্ত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসনকেও। মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী হিন্দুরা মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও, হোয়াইট হাউস কিন্তু কিছুটা উদ্বেগে।
মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, "গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত সরকার যে ঘোষণা করেছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।"
জাতিসংঘ আইনটিকে মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক বলে বর্ণনা করেছে।মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, 'সিএএ মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।' জাতিসংঘ আইনটিকে মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক বলে বর্ণনা করেছে।
২০১৯ সালে সিএএ আইন সংসদে পাশ হয় । গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্র।
নতুন এই আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মুসলিম বাদে ধর্ম- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের যে সব মানুষ প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে, বিরোধীরা এই আইনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভাজনের রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, যে নতুন আইনটি কেবলমাত্র নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের আধিকারিকদের সুরক্ষার জন্য আনা হয়েছে, যারা একসময় অবিভাজ্য ভারতের অংশ ছিল এবং এটি কারও অধিকার কেড়ে নেয় না।মোদী সরকারের আনা সিএএ জারি করার সমালোচনা করেছে মানবাধিকার কর্মী ও সংস্থাগুলি।
We hate spam as much as you do