কসবায় ভুয়ো আইএএস এর ভুয়ো টিকাকরণ শিবির, পুলিশের জালে প্রতারক যা আশংকা কসবা থেকে গ্রেফতার ভুয়ো আইএএস অফিসার। ধৃতের নাম দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো আইএএস অফিসার আইডি কার্ড ও গাড়িতে সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরত। ভুয়ো পরিচয়পত্র কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছে অনেকের থেকে টাকাও হাতিয়েছেন
কসবায় ভুয়ো আইএএস এর ভুয়ো টিকাকরণ শিবির, পুলিশের জালে প্রতারক
যা আশংকা করা গিয়েছিল তাই হল। মানুষের উদগ্রীব হওয়ার সুযোগ নিয়ে একদল অসাধু লোক বেআইনি টিকাকরণ করালো বেশ কিছুদিন ধরে। কেউ নাকি এতদিন জানতেই পারেনি।
কসবা থেকে গ্রেফতার ভুয়ো আইএএস অফিসার। ধৃতের নাম দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো আইএএস অফিসার আইডি কার্ড ও গাড়িতে সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরত। ভুয়ো পরিচয়পত্র কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছে অনেকের থেকে টাকাও হাতিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ।
নিজেকে পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চালান তিনি। টিকা নিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের অভিযোগ টিকা নিলেও সার্টিফিকেট পাননি। দেখা যায় এরকম কোনও শিবিরের অনুমতি পুরসভা দেয়নি।
এরপরেই বিষয়টি পুলিশে জানান কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুশান্ত ঘোষ। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। কসবায় তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বহু ভুয়ো আইডি। তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিভিন্ন সরকারি স্টিকার।
আর কার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, সেই তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। এই চক্রে আর কে কে জড়িত, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শোনা যাচ্ছে এই ক্যাম্প থেকে নাকি সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ক্যাম্প থেকে মোট ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে টিক দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। পাশাপাশি এই ভুয়ো ক্যাম্প থেকেই টিকা নিয়েছিলেন একাধিক বিশেষভাবে সক্ষম মানুষরাও। টিকা নিয়েছিলেন রূপান্তরকামীরাও। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে সোনারপুরেও একটি ভুয়ো টিকা সেন্টারের হদিশ মেলে। যেখান থেকে একাধিক অটো ও টোটো চালককে টিকা দেওয়ার কাজ চলছিল। দুই ক্যাম্পের মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
We hate spam as much as you do