৮৬ দিন পর দুর্নীতির মামলার তদন্তে আপাতত কয়েকজনের নামে চার্জশিট গঠিত হয়েছে কিন্তু তা আদালতে পেশ করা যাচ্ছেনা কারণ তাদের মাথার উপরে থাকা সরকারি দফতরের তরফ থেকে NOC পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভয়ের রাজনীতির মূল কাণ্ডারী অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারি তদন্ত প্রক্রিয়া চলার পর অভীক দে’র বিরুদ্ধে তদন্তকারী কমিটির তৈরি রিপোর্ট সাধারণ মানুষের সামনে এসেছে যেখানে ৩২ টি অভিযোগের ভিত্তিতে সবকটিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে তৈরি তদন্ত কমিটির কোনোরকম রিপোর্ট আমরা পাইনি। অর্থাৎ “অভিযুক্ত” বা “দোষী” কারও বিরুদ্ধেই কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেডিকেল কাউন্সিল তাদেরকে আবার পুনর্বহাল করেছে।
'অভয়ার বিচার চাই' বাবা-মা'কে সঙ্গে নিয়েই স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তাররা
07 ডিসেম্বর 2024
অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের নারকীয় রাতের পর পেরিয়ে গেছে চার মাস। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য ও দেশ জুড়ে প্রবল আন্দোলনের চাপে এবং তদন্ত চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সক্রিয় ভয়ানক দুর্নীতিচক্র ও ভয়ের রাজনীতির বাস্তব চিত্র জনমানসে স্পষ্ট হয়েছে। এই চলমান আন্দোলন ও তদন্তপ্রক্রিয়া থেকেই আমরা জানতে পেরেছি এই ভয়ের রাজনীতি ও দুর্নীতির মূল পাণ্ডারা সে’দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল যাদেরকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার। তারই সাথে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির সুপারিশ অনুযায়ী অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত মেডিকেল কলেজগুলির আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত তাই তাদের তদন্ত চলেছে একসাথে। কিন্তু লক্ষ্যনীয় যে এই দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়ার পরে এখনও ধর্ষণ ও খুনের কাণ্ডে এবং তা ধামাচাপা দেওয়ার সাথে জড়িত সমস্ত কুশীলবদের চিহ্নিতই করা যায়নি।
৮৬ দিন পর দুর্নীতির মামলার তদন্তে আপাতত কয়েকজনের নামে চার্জশিট গঠিত হয়েছে কিন্তু তা আদালতে পেশ করা যাচ্ছেনা কারণ তাদের মাথার উপরে থাকা সরকারি দফতরের তরফ থেকে NOC পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভয়ের রাজনীতির মূল কাণ্ডারী অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারি তদন্ত প্রক্রিয়া চলার পর অভীক দে’র বিরুদ্ধে তদন্তকারী কমিটির তৈরি রিপোর্ট সাধারণ মানুষের সামনে এসেছে যেখানে ৩২ টি অভিযোগের ভিত্তিতে সবকটিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে তৈরি তদন্ত কমিটির কোনোরকম রিপোর্ট আমরা পাইনি। অর্থাৎ “অভিযুক্ত” বা “দোষী” কারও বিরুদ্ধেই কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেডিকেল কাউন্সিল তাদেরকে আবার পুনর্বহাল করেছে।
এর ফলশ্রুতিতে গতকাল West Bengal Junior Doctors’ Front এর ডাকে মেডিকেল কাউন্সিল থেকে স্বাস্থ্য ভবন অবধি মিছিলে আজ পা মিলিয়েছিলেন অভয়ার মা বাবা। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ সত্য বাইরে আসুক এবং আসল দোষীরা শাস্তি পাক। তার সাথে সিনিয়র চিকিৎসকদের বহু সংগঠন, নার্সদের সংগঠন, নাগরিক সংগঠন আমাদের পায়ে পা মিলিয়েছেন এবং স্লোগান দিয়েছেন ন্যায়বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও দুর্নীতিচক্রের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য ভবনে আলোচনার টেবিলে গেলেও তারা কোনও সদুত্তর পাননি বলে জানান । তারা অভিযোগ করেন আমরা জানতে পেরেছি অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ হয়েছে এবং আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডে সহ সকলের বিরুদ্ধে গঠিত চার্জশিট অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে কিন্তু এই সবকিছুই আটকে আছে বিভাগীয় জটিলতায় ও হায়ার অথরিটির ফাইনাল গ্রিন সিগনালের জন্য। সেই হায়ার অথরিটি ঠিক কে বা বিভাগীয় জটিলতা ঠিক কি সে বিষয়েও তার কোনও স্পষ্ট জবাব তাঁরা দিতে পারেননি। এইসব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এই সমস্ত দোষীদের শাস্তির দাবিতে তাদের লড়াই চলবে এবং তারা আবার স্বাস্থ্য ভবনে মনে করিয়ে দিতে আসবেন বলে জানান । যাতে তাদের অকর্মণ্যতা ও তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য অভয়ার বিচার আরও দীর্ঘায়িত না হয় ও ভবিষ্যতের অভয়াদের ভয়ে সঙ্কুচিত হয়ে না থাকতে হয় তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা সরব থাকবেন, সাধারণ মানুষও সরব থাকবেন, পশ্চিমবঙ্গ সরব থাকবে। অভয়ার ভয় নাই রাজপথ ছাড়িনাই।
We hate spam as much as you do