জুন মাসের নিরাপত্তা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট এস্তনিয়ার সভেন জুরগেন্সন সাংবাদিকদের বলেন “ গত পাঁচ বছর গুতেরেস আসাধারন কাজ করেছেন । সমস্ত সমস্যার যায়গা গুলিতে তিনি সেতু বন্ধনের কাজ করেছেন । তিনি সকলের সাথে কথা বলতে পারেন । এবং আমার মনে হয় একজন মহাসচিবের কাছ থেকে আমরা এইরকমই চাই”
আন্টোনিও গুতেরেস পুনরায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত
আন্টোনিও গুতেরেস আরও পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হলেন । তার দ্বিতীয় কার্যকালের মেয়াদ শুরু হচ্ছে আগামী ২০২২ এর ১লা জানুয়ারি থেকে । নিরাপত্তা পরিষদ তার নাম সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত করে ১৯৩ জন কমিটি সদস্যের কাছে পাঠায় । রাষ্ট্রসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে সভাপতি ভল্কান বজকির ঘোষণা করেন পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য আন্টোনিও গুতেরেস মহাসচিব হিসেবে কাজ করবেন । তারপর ৭২ বছর বয়সের মহাসচিবকে পুনঃ নির্বাচিত করার শপথের ব্যাবস্থা করেন ।
গত ৮ইজুন ১৫ জাতীয় পরিষদের সদস্যের সভায় আন্টোনিও গুতেরেস এর নাম দ্বিতীয় বারের জন্য গৃহীত হয় । জুন মাসের নিরাপত্তা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট এস্তনিয়ার সভেন জুরগেন্সন সাংবাদিকদের বলেন “ গত পাঁচ বছর গুতেরেস আসাধারন কাজ করেছেন । সমস্ত সমস্যার যায়গা গুলিতে তিনি সেতু বন্ধনের কাজ করেছেন । তিনি সকলের সাথে কথা বলতে পারেন । এবং আমার মনে হয় একজন মহাসচিবের কাছ থেকে আমরা এইরকমই চাই”
ভারত আন্টোনিও গুতেরেস এর নির্বাচনকে সমর্থন জানিয়েছে । রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তি এস তিরুমুরতি টুইট করেন “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে । গত মাসে রাষ্ট্রসংঘের মুল দপ্তরে মি গুতেরেসএর সঙ্গে দেখা করে্ন বিদেশ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর । সেখানে তিনি পৃথিবীর সর্বচ্চ পদের জন্য গুতেরেস কে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেন্রছি”
“এইরকম একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে কাজ করার জন্য আন্টোনিও গুতেরেসএর দ্বিতীয়বার মনোনয়ন সমর্থন করছি” এস জয়শঙ্কর বলেন।
রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী পরিষদ একজনের নাম দ্বিতীয়বারের জন্য প্রস্তাব করলে তাকে সমস্ত দেশের কাউন্সিল প্রতিনিধিদের অধিকাংশের সমর্থন পেতে হবে ।
মি গুতেরেস এই নিয়ে নবম মহাসচিব যিনি দ্বিতীয়বার মনোনীত হলেন । পর্তুগালের প্রাক্তন মন্ত্রী গুতেরেস ২০০৫ থেকে ২০১৫ রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ।
“বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার ও আশাকে উৎসাহিত করা” মি গুতেরেস এর বক্তব্য অনুসারে আগামী পাঁচ বছর মহামারীর দিকে সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে ব্যাপক দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন । শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কোনও সমঝোতা নয় । পরিবেশ রক্ষা , একটা সমর্থ মানবিক পৃথিবী গড়ার লক্ষে কাজ করার কথা বলেন । মানবাধিকার ও লিঙ্গ সাম্য অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা , ডিজিটাল রূপান্তর এবং বহুপাক্ষিকতা
উন্নত করা যা ‘United Nations 2.0 লক্ষ অনুসারে ভবিস্যত মূল্যবোধের প্রতিশ্রুতি দেবে । এখন রাষ্ট্রসংঘ মহামারী রুখতে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মি গুতেরেস জানান ।
We hate spam as much as you do