বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা লোকের সংখ্যা অজানা। ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার পর তালেবান এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানে ১০০০ মৃতর মধ্যে বহু শিশু নিহত, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অনেকে
আফগানিস্তানে বুধবার (২২ জুন) আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলে দেশটির চিকিতসকেরা জানিয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছে ১ হাজার ৫০০ জন। খবর বিবিসির।
দেশটির পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাকতিকা অঞ্চলে এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা লোকের সংখ্যা অজানা। ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার পর তালেবান এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, 'আমরা এলাকাটিতে পৌঁছাতে পারছি না- নেটওয়ার্ক অনেক খারাপ।' দক্ষিণ পূর্বের পাকতিকা প্রদেশের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘ জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং এবং উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ অন্যান্য জিনিসের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
যারা বেঁচে গেছেন এবং যারা উদ্ধার তৎপরতা চালাছেন, তারা বিবিসিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছের গ্রামগুলো একবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তা, মোবাইল ফোনের টাওয়ার সব ভেঙ্গে পড়েছে।
তারা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুই দশকের মধ্যে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেয়া তালেবানের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল । দেশটির স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় এই ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানাচ্ছে, ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়েছে।
তারা বলছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন।
We hate spam as much as you do