বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘জোর করে চাকরি নেওয়ার জন্য যদি দিনের পর দিন পথ আটকে বসে থাকে, দিনের পর দিন পুলিশের ওপর হুজ্জুতি করে, যদি সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে, যদি পুলিশকে যদি কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে?’
‘পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে?’ TMC বিধায়কের মত সুজনের মত ভিমরতি
Nov 11, 2022
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের ‘কামড়’ বিতর্কে ইতিমধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। এরই মধ্যে সেই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীকে কামড়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তাকে কার্যত সমর্থন করলেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, অবস্থানকারীরা বারবার পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছে, সরকারের কাজ ব্যাহত করছে। তাই, পুলিশ কামড়ে কোনও ভুল করেনি বলেই দাবি করেছেন তিনি। জনসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘পুলিশকে যদি কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে? আপনারা ভেবে দেখবেন।’
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছলেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন আর এক বিধায়ক জুন মালিয়াও। মঞ্চ থেকে বিধায়কের এমন মন্তব্য বিতর্ক বাড়িয়েছে আরও। গত বুধবার কলকাতায় টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন অরুণিমা পাল নামে এক মহিলার হাতে কামড় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের দাবি, অরুণিমাই প্রথমে কামড় দিয়েছিলেন, তারপরই পাল্টা আক্রমণ করে পুলিশ। উর্দি পরে একজন কর্তব্যরত কনস্টেবলের কীভাবে কামড়ে দেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
ঠিক কী বললেন বিধায়ক অজিত মাইতি?
বিধায়ক বলেন, ‘জোর করে চাকরি নেওয়ার জন্য যদি দিনের পর দিন পথ আটকে বসে থাকে, দিনের পর দিন পুলিশের ওপর হুজ্জুতি করে, যদি সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে, যদি পুলিশকে যদি কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে?’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তোমরা বিব্রত করে যাচ্ছ কোন অধিকারে? পুলিশকে বিব্রত করছ কোন অধিকারে?’ তাঁর দাবি, বিক্ষোভকারী পুলিশকে কামড়ে দিলে ‘রে রে করে পাড়া মাথায় তোলা’ হচ্ছে, আর পুলিশকে কামড়ালে, সেটা অপরাধ নয়, এটা হতে পারে না।
‘ভিমরতি হয়েছে’, বলছেন বিরোধীরা
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ভিমরতি হয়েছে বিধায়কের।’ তাঁর দাবি, এমন কথা শুনলে বিধায়কের পরিবারের লোকেরাও তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেবেন। বাম নেতার দাবি, এই রকম নেতাদের জন্যই মানুষের ধারনা হচ্ছে, পুলিশ তৃণমূলের ‘লুঠেরা বাহিনী’তে পরিণত হচ্ছে।
We hate spam as much as you do