Tranding

04:47 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / ভোটের আগে বিজেপির দল ভাঙছে কর্ণাটকে

ভোটের আগে বিজেপির দল ভাঙছে কর্ণাটকে

একজন বিধায়কের দলত্যাগ আটকাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে অনুরোধ জানানো বিজেপির মতো মহাশক্তিশালী দলের পক্ষে ভালো উদাহরণ নয়। এর আগে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের দুই বড় নেতা, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাদভি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার। বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী বিধায়ক আদাগৌড়া বিশ্বনাথও বিজেপি ছেড়ে হাত শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। দেবগৌড়ার দলে যোগ দিয়েছেন আয়ানুর মঞ্জুনাথ।

ভোটের আগে বিজেপির দল ভাঙছে কর্ণাটকে

ভোটের আগে বিজেপির দল ভাঙছে কর্ণাটকে

 ২৩ এপ্রিল ২০২৩


কেউ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তো কেউ প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী! কারও পরিচয় ছ’বারের বিধায়ক। কেউ আবার দীর্ঘকালের রাজ্য নেতা। তা সত্ত্বেও মেলেনি টিকিট। তার জেরেই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলত্যাগের যেন জোয়ার এসেছে বিজেপিতে। প্রায় প্রতিদিন দক্ষিণের এই রাজ্যের কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা আচমকা গেরুয়া শিবির ছেড়ে কংগ্রেস, এমনকী দেবেগৌড়ার জেডিএসে পর্যন্ত যোগ দিচ্ছেন। আর এই প্রবণতায় কর্ণাটক বিজেপিতে তো বটেই, এমনকী দিল্লির শীর্ষ স্তরে পর্যন্ত চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। দলের ভাঙন রুখতে অবশেষে শুক্রবার আসরে নামতে হল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কর্ণাটকে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ও বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পাকে ফোন করে জানাতে বাধ্য হলেন, ‘নিশ্চিন্ত থাকুন। বিজেপি আপনার পাশে আছে। আপনার মতো এক জনপ্রিয় নেতাকে বিজেপির প্রয়োজন। তাই এখন দলের জয়ের জন্য সর্বতোভাবে কাজ করে যান।’ কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে কেন এভাবে সামান্য একজন বিধায়ককে ফোন করতে হচ্ছে? এই প্রশ্নেই জল্পনা দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির এই বেহাল দশায় উল্লসিত বিরোধীরা।


এমন পরিস্থিতির আসল কারণ, টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ। কর্ণাটকে এবার বহু বিধায়ককে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই ঈশ্বরাপ্পা। তিনি অবশ্য নিজের থেকেও বেশি চিন্তিত ছিলেন ছেলেকে নিয়ে। ভেবেছিলেন, তাঁকে না দিলেও তাঁর পুত্রকে নিশ্চয়ই হাই প্রোফাইল শিবমোগা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করবে দল। কিন্তু বিজেপির অন্তিম প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, ঈশ্বরাপ্পার পুত্রের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আশঙ্কা—এবার অন্য একঝাঁক নেতা মন্ত্রী, বিধায়কদের মতো ঈশ্বরাপ্পাও দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। সেই সম্ভাবনা ঠেকাতেই আর কেউ নয়, আসরে নামতে হল মোদিকে। একজন বিধায়কের দলত্যাগ আটকাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে অনুরোধ জানানো বিজেপির মতো মহাশক্তিশালী দলের পক্ষে ভালো উদাহরণ নয়। এর আগে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের দুই বড় নেতা, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাদভি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার। বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী বিধায়ক আদাগৌড়া বিশ্বনাথও বিজেপি ছেড়ে হাত শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। দেবগৌড়ার দলে যোগ দিয়েছেন আয়ানুর মঞ্জুনাথ।
আগামী ১০ মে দক্ষিণের এই রাজ্যে ভোট। তার আগে এখন কার্যত প্রতিদিন এই বিজেপি ত্যাগের উৎসব চলছে। আর সেটাই রীতিমতো চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে বিজেপির অন্দরে। প্রায় সব জনমত সমীক্ষায় পূর্বাভাস, এবার বিজেপি পরাস্ত হচ্ছে কর্ণাটকে। ফিরছে কংগ্রেস। তাই শেষ ও মরিয়া প্রয়াস হিসেবে এবার নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে সবথেকে বেশি সভা সমাবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাতেও দলত্যাগের স্রোত সামলানো যাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করতে হচ্ছে বিধায়কদের, যা মোদি জমানায় এককথায় বেনজির। 

Your Opinion

We hate spam as much as you do