শুক্রবার (১৬ মে) থেকে শনিবার (১৭ মে) পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ চালায়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, শুধুমাত্র ওই দুই দিনে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে এবং ৩ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় বা প্রয়োজনীয় সেবা নেই
আবার শুরু!ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ২০০, ঘরছাড়া ৩ লাখ
১৮ মে ২০২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছেন আরও বহু মানুষ, এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
শুক্রবার (১৬ মে) থেকে শনিবার (১৭ মে) পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ চালায়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, শুধুমাত্র ওই দুই দিনে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে এবং ৩ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় বা প্রয়োজনীয় সেবা নেই। হামলার এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে, যার ফলে প্রায় ১৪০ লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। এছাড়া ড্রোন হামলায় বহু শরণার্থী শিবির পুড়ে গেছে। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মিডিয়া অফিস দাবি করেছে।
গাজায় খাদ্য, জল ও ওষুধের সরবরাহ গত ২ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপর ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু হয়, যা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপসাগরীয় সফরের সময় নিহতের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রশ্ন তোলে। গাজার শরণার্থীরা এখন খাদ্য ও চিকিৎসাসহ যেকোনো মানবিক সাহায্যের জন্য হাহাকার করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হামলা বন্ধ, অবরোধ তুলে মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষীদের বিচার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতার স্বার্থে গাজার সংকটের অবসান দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
We hate spam as much as you do