Tranding

08:27 PM - 01 Dec 2025

Home / Opinion / ভোটে বিজেপির জয়ের পরই কমল EPF-তে সুদের হার! মধ্যবিত্ত সংকটে! ১০ বছরের সর্বনিম্ন সুদ নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিবিদদের

ভোটে বিজেপির জয়ের পরই কমল EPF-তে সুদের হার! মধ্যবিত্ত সংকটে! ১০ বছরের সর্বনিম্ন সুদ নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিবিদদের

গতবছরের মার্চে অর্থাৎ ২০২০-২১-এ ইপিএফও-র বোর্ডের তরফে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮.৫%। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক কর্মচারীরা ইপিএফ থেকে টাকা তুলে নিয়েছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রর্যন্ত ৫৬.৭৯ লক্ষ আবেদনপত্রের নিরিখে ১৪৩১০.২১ কোটি টাকা তুলেছিলেন শ্রমিক কর্মচারীরা। সেই পরিস্থিতিতেও গত বছরেও সুদের হার রাখা হয়েছিল ৮.৫%। তার আগের বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ সুদের হার ছিল ৮.৫%। ২০১৮-১৯ সালে সুদের হার ছিল ৮.৬৫%।

ভোটে বিজেপির জয়ের পরই কমল EPF-তে সুদের হার! মধ্যবিত্ত সংকটে! ১০ বছরের সর্বনিম্ন সুদ নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিবিদদের

ভোটে বিজেপির জয়ের পরই কমল EPF-তে সুদের হার! মধ্যবিত্ত সংকটে! ১০ বছরের সর্বনিম্ন সুদ নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিবিদদের
 

অনেকেই আশংকা করেছিলেন নির্বাচনে
চার রাজ‍্যে জয়ের পরই কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা নামিয়ে আনবে। তাই হল।
আর্থিক বর্ষ ২০২১-২২ শেষ হওয়ার আগে খারাপ খবর মধ্যবিত্তদের জন্য। এদিন ইপিএফও(EPFO) -র তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের জন্য সুদের হার (rate of interest) কমানো হচ্ছে। ৮.৫ শতাংশ থেকে সুদের হার কমিয়ে করা হচ্ছে ৮.১ শতাংশ। গত ১০ বছরে এই সুদের হার সর্বনিম্ন।

 

  • গতবছরে সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ
  • গতবছরের মার্চে অর্থাৎ ২০২০-২১-এ ইপিএফও-র বোর্ডের তরফে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮.৫%। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক কর্মচারীরা ইপিএফ থেকে টাকা তুলে নিয়েছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রর্যন্ত ৫৬.৭৯ লক্ষ আবেদনপত্রের নিরিখে ১৪৩১০.২১ কোটি টাকা তুলেছিলেন শ্রমিক কর্মচারীরা। সেই পরিস্থিতিতেও গত বছরেও সুদের হার রাখা হয়েছিল ৮.৫%। তার আগের বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ সুদের হার ছিল ৮.৫%। ২০১৮-১৯ সালে সুদের হার ছিল ৮.৬৫%।

তবে বছরের পর বছর ধরে ইপিএফও-তে সুদের হার বেশি থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল অর্থমন্ত্রক। বাজার চলতি সুদের হার অর্থাৎ ৮ শতাংশের নিচে করার জন্যও চাপ দিয়েছিল অর্থমন্ত্রক।  সাধারণভাবে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ৪ শতাংশ থেকে ৭.৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাধারণভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বাড়ানো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার সাধারণ মানুষকে শেয়ার বাজারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার পুঁজি তুলে দিতে চাইছে বৃহৎ পুঁজিপতিদের হাতে। সেই কারণেই এই অবস্থা।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির বৈঠকে
এদিন ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির বৈঠকে সুদ কমানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এই বোর্ড অফ ট্রাস্টিতে সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তবে এর নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায়িক সংস্থার প্রতিনিধিরাও। তবে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় অর্থমন্ত্রক।

১৯৫২ সালের ইপিএফ আইন অনুসারে শ্রমিক কর্মচারীদের এটি একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয় প্রকল্প। যেসব প্রতিষ্ঠানে ২০ কিংবা তার বেশি লোক রয়েছে, সেখানে ইপিএফ কার্যকরী। এক্ষেত্রে কর্মীকে যেমন একটি নির্দিষ্ট টাকা দিতে হয়, ঠিক তেমনই দিতে হয় নিয়োগ কর্তাকেও। অবসর গ্রহণের সময় কিংবা চাকরির শেষ সংয়ে কর্মী সুদ-সহ টাকা ফেরত পান।

Your Opinion

We hate spam as much as you do