লন্ডনে অ্যাগনেস কোরি নামের এক আন্দোলনকারী বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের সমস্ত সদিচ্ছার দিকে ইসরায়েলি সরকারের কোনও মনোযোগ নেই। তারা গাজায় আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছে। লেবানন, ইয়েমেন এখন তাদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। সামনের দিনে হয়তো তারা ইরানেও আগ্রাসন শুরু করবে।’
বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী প্যালেস্টাইনের পক্ষে বিক্ষোভ যুদ্ধ বন্ধের দাবী
০৬ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে বিশ্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাস্তায় নেমেছিল হাজারো বিক্ষোভকারী। প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারী লন্ডনে মিছিল করেছে। প্যারিস, রোম, কেপটাউন ও ম্যানিলাতেও জড়ো হয়েছিল হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
লন্ডনে অ্যাগনেস কোরি নামের এক আন্দোলনকারী বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের সমস্ত সদিচ্ছার দিকে ইসরায়েলি সরকারের কোনও মনোযোগ নেই। তারা গাজায় আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছে। লেবানন, ইয়েমেন এখন তাদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। সামনের দিনে হয়তো তারা ইরানেও আগ্রাসন শুরু করবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আর আমাদের সরকার কেবল কয়েকটা মন্তব্য করেই দায়িত্ব শেষ করছে। অন্যদিকে ইসরায়েলকে ঠিকই সামরিক সহায়তা দিচ্ছে।’
প্যারিসে বিক্ষোভে নেমেছিলেন লেবানিজ-ফরাসি হুসসাম হুসেইন। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক যুদ্ধ নিয়ে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। কারণ ইরানের সঙ্গে যথেষ্ট উত্তেজনা বিরাজ করছে ইসরায়েলের। চলমান সহিংসতা আমাদের বন্ধ করতেই হবে। পুরো বিষয়টাই অসহনীয় হয়ে উঠেছে।’
৭ অক্টোবরকে সামনে রেখে রোমে কোনও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তা উপেক্ষা করে প্রায় ৬ হাজার বিক্ষোভকারী মিছিলে নামে। তাদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা।
এদিকে, বার্লিনে ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ইসরায়েল সমর্থকরা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামলায় অন্তত ১হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে। এই হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছে।
We hate spam as much as you do