এখনও অব্দি পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৫ কোটি শিশু গৃহহীন। কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে স্মরণার্থী শিবিরে থাকছেন। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে সংযুক্ত রাষ্ট্রের জন্যসংখ্যা ফান্ডের প্রতিনিধি লায়লা বাকর জানিয়েছেন, “সংঘর্ষের যে জায়গাগুলিতে লিঙ্গ - ভিত্তিক হিংসা হচ্ছে, তার হার ৯০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা প্রচন্ড বিপদের মধ্যে রয়েছে।”
সুদান সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে : সংযুক্ত রাষ্ট্র
১৭ আগস্ট ২০২৩
চার মাস পার হয়ে গিয়েছে। তবুও রক্তস্নাত সুদানের গৃহযুদ্ধ থামেনি। উত্তর আফ্রিকার দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা সেনার মধ্যে হয়ে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মানবাধিকার সংকট দেখা দিয়েছে। মৃত্যুমিছিল, যৌন হিংসা, গুলি - বোমা, আগুন, সব মিলিয়ে সুদান যেন ইরাক - সিরিয়াকেও ছাপিয়ে যেতে চাইছে। সেনা - আধাসেনা বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধাপরাধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুখ্যাত ইম্পেরিয়াল জাপ বাহিনী বা আবু ঘ্রাইবের মাৰ্কিন বাহিনীর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সংযুক্ত রাষ্ট্র অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তাদের বিভিন্ন সংস্থা, এন জি ও এবং মানবাধিকার কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ২০টি সংস্থা বলে দিয়েছে, “সুদানের ষাট কোটির অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষের থেকে আর এক কদম দূরে।”
এখনও অব্দি পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৫ কোটি শিশু গৃহহীন। কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে স্মরণার্থী শিবিরে থাকছেন। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে সংযুক্ত রাষ্ট্রের জন্যসংখ্যা ফান্ডের প্রতিনিধি লায়লা বাকর জানিয়েছেন, “সংঘর্ষের যে জায়গাগুলিতে লিঙ্গ - ভিত্তিক হিংসা হচ্ছে, তার হার ৯০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা প্রচন্ড বিপদের মধ্যে রয়েছে।”
এছাড়া, ত্রাণ সামগ্রীর অবাধ লুটপাট, সাধারণ মানুষ ও ত্রাণ কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা তো এখন সুদানবাসীর গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। সুদান শান্ত হোক, এই আশাতেই প্রহর গুনছে বিশ্ববাসী।
We hate spam as much as you do