Tranding

05:14 PM - 01 Dec 2025

Home / Opinion / ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত অধরা, ট্রেন উপচে পড়ছে।

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত অধরা, ট্রেন উপচে পড়ছে।

এতদিন ধরে সাধারণ মানুষের একটাই দাবি ছিল যে লোকাল ট্রেন চালু করা। আর আজ থেকে চালু হল ট্রেন। কিন্তু এই বাদুড়ঝোলা ভিড়ের ছবি দেখে অশনিসঙ্কেত দেখা দিচ্ছে। এমনিতেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তার মধ্যে লোকাল ট্রেন চালুর পর রাজ্যের করোনার ছবি কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত অধরা, ট্রেন উপচে পড়ছে।

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত অধরা, ট্রেন উপচে পড়ছে।

 

 গতকাল  থেকে গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা, রবিবারেই বাদুরঝোলা ভিড়! দূরত্ববিধি কাগজ-কলমেই


 প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে রাজ্যে গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ট্রেন চালু হওয়ার আগে প্রথমে স্যানিটাইজেশন করা হয়। দূরত্ববিধি মানতে দুটি আসনের মধ্যে ক্রস চিহ্নের স্টিকার লাগানো হয়েছে।

কিন্তু রবিবারেই দেখা গেল উচে পড়া ভিড়। সোনারপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের বিভিন্ন কামরায় ঠাসাঠাসির ছবি দেখা গেল। পাশাপাশি বারাসাতেও ফিরল চেনা ছবি। রবিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ডাউন বনগাঁ লোকাল ঢুকতেই দেখা গেল সেই উপচে পড়া ভিড়। আর তার ফলেই স্পষ্ট, রেলের তরফে দুটি সিটের মধ্যে স্টিকার বা দূরত্ববিধি মানতে যাই বলা হোক না কেন সেটা বাস্তবে কোনওভাবেই সম্ভব নয়।


কিন্তু এতদিন ধরে সাধারণ মানুষের একটাই দাবি ছিল যে লোকাল ট্রেন চালু করা। আর আজ থেকে চালু হল ট্রেন। কিন্তু এই বাদুড়ঝোলা ভিড়ের ছবি দেখে অশনিসঙ্কেত দেখা দিচ্ছে। এমনিতেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তার মধ্যে লোকাল ট্রেন চালুর পর রাজ্যের করোনার ছবি কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা। যথাসম্ভব দূরত্ব বৃদ্ধি মানতে বলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ‘মাস্ক মাস্ট’ বলেই পরামর্শ চিকিৎসদের।  রবিবার হওয়া সত্ত্বেও এই বাদুড়ঝোলা ভিড়, আর আজ  ভিড় আরও বেড়েছে।

প্রশ্ন আগেই ছিল, ৫০ শতাংশ যাত্রী মাপবে কে? রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল আরপিএফ এবং জিআরপি দিয়ে নজরদারি চালানো হবে স্টেশনে স্টেশনে। কিন্তু তেমনটা চোখে পড়ল না। বিভিন্ন  স্টেশনের ছবি বলছে, সকাল থেকে ৫০ শতাংশ, ২০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছুটছে তারকেশ্বর থেকে হাওড়া এবং তারকেশ্বর থেকে গোঘাট যাওয়ার ট্রেন। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। দেখে মনেই হবে না যে করোনার কোনও প্রভাব পড়েছে। প্রশাসনের দেখভাল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


অনেক যাত্রীদের মতে, কোভিড বিধি নিয়ে ট্রেন চালাতে গেলে ১২ বগি ট্রেনের প্রয়োজন। কারণ গন্তব্য সবাইকেই পৌঁছতে হবে।

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত শিয়ালদা শাখার ৯২২ টি ট্রেনের মধ্যে ৬১০ থেকে ৬২০ টি ট্রেন চলছিল। অন্য দিকে, হাওড়া শাখায় ৪৮৮ টি ট্রেন চলার কথা। সেখানে ২৫৪ টি ট্রেন চলছিল। ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই ট্রেনের সংখ্যা  বাড়লে ভিড় কমবে, এমনটা আশা করছিলেন অনেকেই।

Your Opinion

We hate spam as much as you do