প্রথম থেকে মোদি সরকারের কুনজরে ছিল গান্ধী পরিবার। এবার সেই কুনজরের তালিকায় যুক্ত হল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এই দুটি ট্রাস্টের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের রাস্তা বন্ধ করে দিল সরকার। তাদের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিদেশি অনুদান সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা
রাজীব গান্ধী নামাঙ্কিত চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিদেশি অনুদান সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা
অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ও রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে তৈরি রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরম, মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ারা এর ট্রাস্টি। একই ভাবে ২০০২ সালে তৈরি রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টেরও প্রধান সনিয়া গান্ধী। এই দু’টি সংস্থাই আর বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না।
চার বছর আগে দেশের ৪২টি সংস্থার বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
প্রথম থেকে মোদি সরকারের কুনজরে ছিল গান্ধী পরিবার। এবার সেই কুনজরের তালিকায় যুক্ত হল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এই দুটি ট্রাস্টের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের রাস্তা বন্ধ করে দিল সরকার। তাদের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাইতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গঠিত একটি কমিটি বৈঠকে বসে। সেই কমিটি এই দুই দাতব্য কেন্দ্রের আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে। কমিটির দাবি, বিদেশি অনুদানের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। কমিটির আরও দাবি, দুই দাতব্য কেন্দ্রের তরফ থেকে দায়ের করা আয়কর রিটার্নেও কারচুপি করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কারণ দেখিয়ে অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছিল, অনুদানের টাকা সেই খাতে খরচ না করে খরচ করা হয়েছে অন্যখাতে। তাই, সব কিছু খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গঠিত কমিটি এই দুই দাতব্যকেন্দ্রের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা চিঠি পাঠিয়ে ওই দুই সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস যে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবে, তা ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে কেন্দ্র এই ধরনের সিদ্ধান্ত আগেও নিয়েছিল। মাদার টেরেসা প্রতিষ্ঠিত দাতব্য কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ ওঠায় কেন্দ্র বাধ্য হয়ে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।
We hate spam as much as you do