তাইইপেইতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রী জোসেফ ইউ রাশিয়া ও বেলারুশকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন ও বলেন : "ভবিষ্যতে যদি চীন আমাদের আক্রমণ করে তবে আমরা আশা রাখি যে আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আমাদের পাশে দাঁড়াবে এবং এই ধরণের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আমাদের সাহায্য করবে।"
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে রাশিয়ার মত একঘরে করতে তাইওয়ানের মার্কিন মদতে প্রোপাগাণ্ডা
উক্রেইন আক্রমণের পর পশ্চিমী দেশগুলির সাথে রাশিয়া ও বেলারুশের উপর তাইওয়ানও নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে তালে তাল মিলিয়েছে। এর পিছনে বিশেষজ্ঞরা তাইওয়ানের দুরভিসন্ধি দেখছেন। কারণ তাইওয়ান গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে রাশিয়ার মত একঘরে করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাইওয়ান প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যে চীনও নাকি অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার মত তাদের দেশকে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। তাই তারা উক্রেইনের অসহায়তাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছে।
তাইইপেইতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রী জোসেফ ইউ রাশিয়া ও বেলারুশকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন ও বলেন : "ভবিষ্যতে যদি চীন আমাদের আক্রমণ করে তবে আমরা আশা রাখি যে আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আমাদের পাশে দাঁড়াবে এবং এই ধরণের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আমাদের সাহায্য করবে।"
উল্লেখযোগ্য ভাবে উক্রেইন আক্রমণের পর থেকেই তাইওয়ান চীনকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা শুরু করে ও তাদের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিষয়ে ঘন ঘন বিবৃতি দেওয়া শুরু হয়। তাইওয়ান চীনের রাশিয়াকে পরোক্ষে সমর্থন করার বিষয়টি বার বার তুলে ধরার চেষ্টা করে ও তাইওয়ানকে চীন যে নিজেদেরই অংশ বলে মনে করে ও সেখানকার জনমতকে অস্বীকার করে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরে। তাইওয়ানের পার্লামেন্ট স্পিকার ইউ সি - কিন্ আবার এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন : "উক্রেইন খুব ভালো ভাবে রাশিয়াকে মোকাবিলা করেছে। তারা ৭০ দিন ধরে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে চলেছে। তারাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হব।"
যদিও চীনের সাথে যুদ্ধে জড়ালে উক্রেইন কাদের পাশে পাবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বহু দেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলির চীনের সাথেই কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তাইওয়ানের সাথে নয়। তাই তাইওয়ানের কাছে আগামী দিন গুলি কঠিন চ্যালেঞ্জ।
We hate spam as much as you do