আন্দোলনরত প্রার্থীদে মঞ্চের পক্ষে মৌসুমী ঘােষ দাস জানিয়েছেন, বুধবার রাতে পুলিশের অত্যাচারে জেদ বেড়ে গিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। পরের দিন ভাের হতেই পুনরায় ধরনা মঞ্চের দিকে প্রার্থীরা যাওয়ার চেষ্টা করলে সেই ভেঙে যাওয়া মঞ্চ ঘিরে রাখে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনে যেতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নবম থেকে দ্বাদশের চাকরি প্রার্থীনিয়োগের দাবিতে আন্দোলকারী হবু শিক্ষকদের ধারণা মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ
বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের সামনের রাস্তার ফুটপাতের ছােট্ট জায়গায় টানা ১৮৭ দিন ধরে বসেছিলেন নবম থেকে দ্বাদশে শিক্ষকতার পরীক্ষায় মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। গত বুধবার গভীর রাতে তখন প্রার্থীদের অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, অবস্থান তখন ১৮৮তম দিনে। অতর্কিতে প্রার্থীদের ডেরায় হানা দেয় বিধাননগর থানার পুলিশ। প্রার্থীদের জামাকাপড়, ব্যাগ সব কিছু বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে ধরনা মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এই বর্বরােচিত অত্যাচারে সারা রাত বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন এরাজ্যের মানুষ গড়ার ভাবী কারিগররা।
আন্দোলনরত প্রার্থীদে মঞ্চের পক্ষে মৌসুমী ঘােষ দাস জানিয়েছেন, বুধবার রাতে পুলিশের অত্যাচারে জেদ বেড়ে গিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। পরের দিন ভাের হতেই পুনরায় ধরনা মঞ্চের দিকে প্রার্থীরা যাওয়ার চেষ্টা করলে সেই ভেঙে যাওয়া মঞ্চ ঘিরে রাখে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনে যেতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার নিন্দা করে ডিওয়াইএফআই’ রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান ও সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অবিলম্বে নবম থেকে দ্বাদশ শিক্ষকতার শূন্যপদে এই যােগ্য প্রার্থীদের নিয়ােগের ব্যবস্থা এসএসসি কর্তৃপক্ষকে করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত নবম থেকে দ্বাদশে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে যােগ্য প্রার্থীদে কেন বঞ্চিত করা হবে? তাঁদের সঙ্গে যে বঞ্চনা করা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যানও। যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের এই দাবি পূরণ হচ্ছে, তত দিন পর্য আন্দোলন চলবে বলে চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন।
পুংলিঙ্গ শক্তি 100 গুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন সকালে প্রয়োজন ...
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধা তালিকাভুক্ত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা চরম দুর্নীতি স্বজনপােষণ, গেজেট না মেনে নিয়ােগ, শূন্যপদ আপডে করে নিয়ােগ সহ একগুচ্ছ অভিযােগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯ দিন অনশ কর্মসূচি চালান। ২৯ দিনের মাথায় শিক্ষা মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেই অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, মেধা তালিকাভুক্ত সমস্ত শিক্ষ পদপ্রার্থীকে নিয়ােগ করা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাঁর সে প্রতিশ্রুতি স্কুল সার্ভিস কমিশন আজও পালন করেনি। বাধ্য হয়ে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ১৮৭ দিন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধা তালিকাভুক্ত শিক্ষ পদপ্রার্থীরা সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের পাশে অবস্থান বিক্ষোভ ও রিলে অনশন চালিয়ে গিয়েছেন। দুই বছর আগে যাঁদের নিয়ােগের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে মুখ্যমন্ত্রী, এবার তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ সেই চাকরিপ্রার্থীদে উপর নির্মম অত্যাচার নামিয়ে আনল।
We hate spam as much as you do