রাজ্যের আইনজীবীর বিরোধিতা করে পাল্টা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম জানান, বারংবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এই শুনানির জন্য কোনও একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হোক।
পরপর ১০ বার! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোলো DA মামলার শুনানি!
November 3, 2023
ফের অপেক্ষা। সুপ্রিম কোর্টে দশম বারের জন্য পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সেই সুপ্রিম কোর্টে হল না ডিএ মামলার শুনানি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফের এই মামলাটি শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ইস্যুতে উত্তাল বাংলা। একদিকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই শুনানির দিকে চেয়ে বসে রয়েছেন রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারগণ। আর ওদিকে বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে শুনানি।
শুক্রবার আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বে রাজ্যের তরফে হেভিওয়েট আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে জানান, পূর্বে আদালত জানিয়েছিল, বিস্তারিত শুনানির জন্য অন্য কোনও দিন ঠিক করা হবে। তাই অন্য কোনও দিন এই মামলার শুনানি হোক।
রাজ্যের আইনজীবীর বিরোধিতা করে পাল্টা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম জানান, বারংবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এই শুনানির জন্য কোনও একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হোক। বিজেপির কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিও একই বক্তব্য রাখেন।
সমস্ত দিকে শুনে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলাটি শোনা হবে বলে জানায় সর্বোচ্চ আদালত। যারা ভেবেছিলেন আজই তাদের এতদিনের আন্দোলন সফল হবে তাদের সমস্ত আশায় জল। এদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের DA মামলাটি উঠেছিল।
প্রসঙ্গত,২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টেবেই মামলা দায়ের করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমে ২০১৬ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইনবুনালে মামলা করা হয় তারপর ২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে।
এরপর এই রায় পুনরায় বিবেচনার জন্য আর্জি জানায় রাজ্য। তবে হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না মেটানোয় রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য। তারপর থেকে একাধিকবার মামলাটি উঠলেও শুনানি হয়নি। আজও সেই কাহিনীই যেন ফের রিপিট হল।
We hate spam as much as you do