Tranding

03:48 PM - 01 Dec 2025

Home / World / মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ ঢাকা শহর ঢেকেছে লাল-সবুজে

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ ঢাকা শহর ঢেকেছে লাল-সবুজে

বিজয় দিবসকে স্মরণ করে রাখতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন সড়ক, সড়কদ্বীপ ও ভবনে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাতি। পতাকার আদলে করা বিভিন্ন ভবনে অসাধারন সব আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাতির ঝলমলে ফুটে উঠেছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ  ঢাকা শহর ঢেকেছে লাল-সবুজে

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ  ঢাকা শহর ঢেকেছে লাল-সবুজে

 

 সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে সরিয়ে বাঙালী জাতির জেগে ওঠা ও বিজয়ে চুড়ান্তভাবে স্বাধীনতা অর্জন  ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এক সাগর রক্ত, ত্যাগ, তিতিক্ষার বিনিময়ে জন্ম নেয়া দেশটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে অর্ধশত বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। বিজয়ের অর্ধশত বছরের শুভক্ষণ বরণ করে নিতে রঙবেরঙের সাজে সেজেছে রাজধানী।

 

লাল সবুজ আলোয় ছেয়ে গেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। হালকা শীতের বেলায় বিশ্ববরেণ্য এই সংগ্রামের স্পর্শে গোটা পৃথিবীর আকাশ বাতাস মুখরিত।

 

রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায় ঝলমলিয়ে ওঠেছে পুরো ঢাকা। লাল আর  সবুজ বর্ণের আলোকসজ্জা যেন এক উজ্জ্বল পতাকা।

 

বিজয় দিবসকে স্মরণ করে রাখতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন সড়ক, সড়কদ্বীপ ও ভবনে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাতি। পতাকার আদলে করা বিভিন্ন ভবনে অসাধারন সব আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাতির ঝলমলে ফুটে উঠেছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

 

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন ভিআইপি সড়কে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আলো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রিয় লাল-সবুজ পতাকা। ভিআইপি সড়কের পাশাপাশি গলিগুলোও শোভা পাচ্ছে ঝলমলে আলোকসজ্জা। এমন আলোকিত ঢাকা দেখে মুগ্ধ রাজধানীবাসী। নানা পেশার কর্মব্যস্ত মানুষও এ আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ। কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছেনে আবার কেউ কেউ সুন্দর এ দৃশ্য মোবাইল বন্দি করছেন। আজ ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বিজয়ের মাস শুরু সাথে সাথে বিভিন্ন গণপরিবহনসহ প্রাইভেট গাড়িতে জাতীয় পতাকা শোভা পাচ্ছে। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছোট-বড় নানা আকারের পাতাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফুটপাতসহ শপিংমলগুলোতেও জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে।


এদিকে, মহান বিজয় উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যুষে বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।


বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।


এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।  বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do