পুলিশের প্রস্তাব মেনে ওই আন্দোলনস্থল ফাঁকা করে না দেওয়ার জন্যই পুলিশ কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের এলাকা থেকে তুলে দেয়। তার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে মোট ৭৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সেই সকলকেই লালবাজারে রাখা হয়। এদের মধ্যেই চার জন লালবাজারের শৌচালয়ে গিয়ে ফিনাইল খায়
লালবাজারের মধ্যেই ফিনাইল খেয়ে অসুস্থ চার SLST চাকরিপ্রার্থী
লালবাজারে আটক করেছিল পুলিশ, শৌচালয়ে গিয়ে ফিনাইল খেয়ে অসুস্থ চার SLST চাকরিপ্রার্থী
গত সত্তর দিন ধরে চাকরির দাবিতে শহীদ মিনারে নিচে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্লাস্টিকের ছাউনি বানিয়ে, মাটিতে প্লাস্টিক পেতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন।
বিকেলে শহিদ মিনারের নিচে প্রতিবাদরত এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের লালবাজারে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তাঁদের আটক করা হয়েছিল। সেই প্রতিবাদীদের মধ্যে থেকেই চারজন লালবাজারের শৌচালয়ে গিয়ে ফিনাইল খেয়ে নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে সালমান শেখ, মাজিজুর রহমান, ঝন্টু হালদার, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল নামে চার জন ফিনাইল খান বলে সূত্রের খবর। তাঁদের তড়িঘড়ি এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়। দু'জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দিলেও বাকি দু'জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে খবর।
গত সত্তর দিন ধরে চাকরির দাবিতে শহিদ মিনারের নীচে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্লাস্টিকের ছাউনি বানিয়ে, মাটিতে প্লাস্টিক পেতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। এরা ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার হঠাৎই সেখানে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। বিকেলের পর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে। নির্ধারিত দেওয়া সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রতিবাদীরা না ওঠায় শেষে ধড়পাকড় শুরু করে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের প্রস্তাব মেনে ওই আন্দোলনস্থল ফাঁকা করে না দেওয়ার জন্যই পুলিশ কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের এলাকা থেকে তুলে দেয়। তার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে মোট ৭৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সেই সকলকেই লালবাজারে রাখা হয়। এদের মধ্যেই চার জন লালবাজারের শৌচালয়ে গিয়ে ফিনাইল খায় বলে খবর। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
We hate spam as much as you do