Xএদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুই ৪ হাজার ৬৩০ জন এবং নারী ৩ হাজার ১৩০ জন।
ইসরায়েলি হামলা : গাজায় ৪৬৩০ শিশুহত্যা, ঘরছাড়া ৭ লাখ শিশু কিশোর
১৪ নভেম্বর ২০২৩
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন গড়িয়েছে ৩৯তম দিনে। দীর্ঘ এই সময়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গাজায় বিপুল পরিমাণ বোমা ও বিস্ফোরক ফেলে শহরটিকে আক্ষরিক অর্থেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের এই নির্বিচার হামলার কারণে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে প্রায় ৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত বা ঘরছাড়া হয়েছে। এই সময়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ এরও বেশি শিশু।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭ লাখ শিশু তাদের ঘর হারিয়েছে। জীবনযাপন করছে বিভিন্ন অস্থায়ী আবাস বা আশ্রয়শিবিরে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই সব শিশুই ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের সবকিছু পেছনে ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুই ৪ হাজার ৬৩০ জন এবং নারী ৩ হাজার ১৩০ জন।
অপরদিকে, গাজায় আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের লাশ খুবলে খাচ্ছে রাস্তার কুকুর। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে স্তূপাকারে জমা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ। গত ১২ নভেম্বর হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে আরব নিউজ। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালের প্রধান ফটকে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
আল-কাইলা বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নিচ্ছে না বরং আহত ও অসুস্থদের রাস্তায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটি সরিয়ে নেওয়া নয় বরং বন্দুকের নলের মুখে উচ্ছেদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন বিপর্যয় ঘটছে, যেখানে রোগীরা এখন চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা ডায়ালাইসিসের অভাবে মারা যাচ্ছে।’
মন্ত্রীর তথ্য অনুসারে, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি নবজাতকও রয়েছে।
We hate spam as much as you do