স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্যমূলক কাজ এটি। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ উসকানি দিলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা এসব অপচেষ্টা করছে ও করবে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হুঁশিয়ারি, বাংলাদেশে হিংসা সৃষ্টিকারীদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ। বামপন্থীদের মিছিল
দুর্গোৎসবের মধ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা হিংসা সৃষ্টি করছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ১৪ অক্টোবর(২০২১) মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমীর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেছেন, যেখানে যেখানে যারাই এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের খুঁজে বের করা হবে। আমরা অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতে আমরা করতে পারব এবং যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি- ‘যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায়, সেটাই আমরা চাই।’
অবিলম্বে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করার দাবী নিয়ে বামপন্থীদের বিশাল মিছিল সংঘটিত হয়।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ১২ অক্টোবর(২০২১) থেকে বাংলাদেশজুড়ে গত বছরের চেয়ে বেশি সংখ্যক দূর্গাপূজোয় অনাবিল আনন্দযজ্ঞ চলছে তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্তেল খবর এসেছে ।
সুত্রের খবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের হাজার বছরের সম্প্রীতির ঐতিহ্য এক নিমিষে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে । অপপ্রচার সম্বল করে বিভিন্ন ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার এ ধরনের প্রচেষ্টা নতুন নয়। এসব কাজে ইসলামের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িক- রাজনৈতিক শক্তির ইন্ধন সাধারণ বিষয়। বাংলাদেশের মৌলবাদী দলগুলোর যুক্ত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
১৩ অক্টোবর(২০২১) সকালে কুমিল্লায় নানুয়া দিঘীরপাড় পূজামণ্ডপে কথিত ‘কুরআন অবমাননার’ অভিযোগ তুলে বেশ কিছু মন্দিরসহ শহরের সালাউদ্দীন রোড কালীগাছতলা ও কাপুড়িয়া পট্টির মণ্ডপেও হামলা হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এর জের ধরে গাজীপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজারে বেশ কিছু মন্দির ও পূজামণ্ডপেও হামলা-ভাঙচুর হয়। চাঁদপুরে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটে। পরে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বান্দরবানের লামা উপজেলায় মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এসেছে । এ সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১২-১৩ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একজন এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সম্প্রীতি বিনষ্ঠকারীদের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্যমূলক কাজ এটি। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ উসকানি দিলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা এসব অপচেষ্টা করছে ও করবে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে এইসব ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃনা ধিক্কার দিয়ে অবিলম্বে কঠোর হাতে দমন করার দাবী নিয়ে বামপন্থীদের বিশাল মিছিল সংঘটিত হয়। বামপন্থীরা সব দেশেই যা করেন অর্থাৎ যেকোনো ধরনের সংখ্যালঘু পীড়নের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি, তারা তাই করছেন।
We hate spam as much as you do