Tranding

05:07 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ,শেষ সম্বল চলে গেল .বাংলায় কাজে সংকট ফের চোখের সামনে

পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ,শেষ সম্বল চলে গেল .বাংলায় কাজে সংকট ফের চোখের সামনে

সম্প্রতি এক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর কার্যত দেনার টাকা মেটাতে সপ্তাহখানেক আগেই পাঞ্জাবের কাজে যান ইলিয়াস। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। কিন্তু এরপরেও তাঁকে সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মালদহের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক নেমে আসে পরিবারে।

পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ,শেষ সম্বল চলে গেল .বাংলায় কাজে সংকট ফের চোখের সামনে

পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ,শেষ সম্বল চলে গেল .বাংলায় কাজে সংকট ফের চোখের সামনে
   
10 feb 2024


পাঞ্জাবে কাজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু মালদহের চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিকের। ভিন রাজ্যের বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসা খরচ মেটাতে না পারায় দেহ আটকে রাখার অভিযোগ। মৃতের দেহ ফেরাতে জলের দরে জমি বন্দক পরিবারের। কার্যত বাধ্য হয়ে মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ১৭ কাঠা জমি বন্দক। একইসঙ্গে প্রিয়জন ও শেষ সম্বল জমি চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ পরিবার। পরিবারের পাশে দাঁড়াল গ্রামবাসীরা। সাহায্যের আশ্বাস প্রশাসনের। জানাগিয়েছে, মৃত শ্রমিক ইলিয়াস আলী (৫০) মালদহের চাঁচোল-১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারে স্ত্রী ছাড়া ও দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ইলিয়াসের দুই ছেলেও ভিন্নরাজ্যে কর্মরত।

সম্প্রতি এক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর কার্যত দেনার টাকা মেটাতে সপ্তাহখানেক আগেই পাঞ্জাবের কাজে যান ইলিয়াস। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। কিন্তু এরপরেও তাঁকে সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মালদহের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক নেমে আসে পরিবারে।


এর চেয়েও বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয় বেসরকারি নার্সিংহোমের মোটা টাকার বিল। টাকা না মেটালে দেহ ছাড়া হবে না বলে জানায় ভিন্ন রাজ্যের নার্সিংহোম। এছাড়া ভিন্ন রাজ্য থেকে দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতেও মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার রাতে পরিবারের শেষ সম্বল ১৭ কাটা কৃষি জমি গ্রামেরই এক ব্যক্তিকে বন্দক দেয় পরিবার। এরপর ওই টাকা নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দেহ ছাড়ানো হয়। শনিবার দুপুরে দেহ এসে পৌঁছয় মালদহের গ্রামে। এভাবে গৃহকর্তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।

, বাড়তি রোজগারের আশায় স্বামী বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু এভাবে মৃতদেহ হয়ে ফিরবে তা কল্পনাতেও ছিল না। শুধু শেষ দেখা দেখার জন্য শেষ সম্বলটুকু পর্যন্ত বন্দক রাখতে হল। সরকার পাশে না দাঁড়ালে কার্যত পথে বসতে হবে।ওই পরিবারের পক্ষ নিয়ে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানায় ধঞ্জনা গ্রামের বাসিন্দারাও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি জানান, সরকারিভাবে ওই পরিবার যাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য পায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবার যাতে বন্দক দেওয়া জমি ছাড়িয়ে নিতে পারে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do