নিহতদের মধ্যে আন্দোলনকারীরা ছাড়াও রয়েছেন বহু সরকারি অফিসারও। একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমে 'প্রথম আলো' সূত্রের খবর, গত ১৬ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ২১ দিনে এই নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৪৪০!
পালাবদলের পর গুলি, আগুন, বাংলাদেশে ! খুন ১০৯ জন
6th August 2024
পড়ে গেছে সরকার। গদিচ্যুত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেও হিংসার আবহ কমছে না বাংলাদেশে। সদ্য পাওয়া 'স্বাধীনতা'র উদযাপনের মাঝে এক দিনেই প্রাণ চলে গেল ১০৯ জনের!
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছিলেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায়। সরকারবিরোধী স্লোগানে ভরে উঠেছিল এলাকা। এই সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের গুলি করেছে বলে অভিযোগ। ঢাকা মেডিক্যাল সূত্রে খবর, অন্তত ৩৭ জনের লাশ এসেছে তাদের কাছে।
নিহতদের মধ্যে আন্দোলনকারীরা ছাড়াও রয়েছেন বহু সরকারি অফিসারও। একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমে 'প্রথম আলো' সূত্রের খবর, গত ১৬ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ২১ দিনে এই নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৪৪০!
যাত্রাবাড়ী ছাড়াও, উত্তরায় থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে সোমবার সন্ধেয়। উত্তরা হাসপাতাল সূত্রের খবর, গুলিবিদ্ধ দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় হাসপাতালে। এলাকার আর এক হাসপাকাল ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁদের হাসপাতালে আটজন মারা গেছেন।
এছাড়াও ঢাকার সাভারে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।
অন্যদিকে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখানে ১৩ জন পুড়ে মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
গুলি চলেছে কুষ্টিয়া শহরেও। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছ'জন নিহত হয়েছেন। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়েও গতকাল দুপুরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। এ ঘটনার পর বানিয়াচং থানা ঘেরাও করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
গাজীপুরের শ্রীপুরে গতকাল বেলা দুটোর দিকে বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। চুয়াডাঙা শহরের সিনেমা হলপাড়ায় জেলা যুবলীগের প্রাক্তন নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়াতেও এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। আগুনে পুড়ে তিনি মারা যান। একই সময় চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আক্তার হোসেন গণপিটুনিতে মারা যান।
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুরেও এক চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে তাঁরা জনরোষে পড়েন। সেখানেই গুলি করা হয় তাঁদের। তার পরে পালাতে পারলেও, গণপিটুনিতে নিহত হন তাঁরা। কচুয়া থানাতেও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন একজন।
We hate spam as much as you do