যোগ্যদের টিকে থাকার লড়াই চলছে ওয়াই চ্যানেলে। জারি অবস্থান, ধরনা-স্লোগানিং। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে অবস্থানকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবেদন, তথ্য পূর্ণ নথি আদালতে জমা দেওয়ার। যাতে প্রকৃত যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করা যায়।
আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের শুনানি 'যোগ্য'দের দাবিতে দন্ডি কেটে অনশন
06 Jan 2025
আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, যোগ্যভাবে নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের অযোগ্যদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের 'পাপের বোঝা' বইতে নারাজ। সোমবার তাঁরা দণ্ডি কেটে প্রতীকী অনশন পালন করেন। স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর।
যোগ্যদের টিকে থাকার লড়াই চলছে ওয়াই চ্যানেলে। জারি অবস্থান, ধরনা-স্লোগানিং। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে অবস্থানকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবেদন, তথ্য পূর্ণ নথি আদালতে জমা দেওয়ার। যাতে প্রকৃত যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করা যায়।
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একদল আন্দোলনকারী অবস্থান করে চলেছেন তিন বছর অতিক্রান্ত। তাঁরা স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে চলেছে। আদালতে মামলা চললেও ভরসা পাচ্ছেন না, একথা আগেই জানিয়েছেন ধরনায় বসা ওই আন্দোলনকারীরা। এবার মুড়ি-মুড়কি যাতে একদর না হয়, তার জন্য কর্মরত যোগ্য শিক্ষকরা ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান করছেন। ২৭ ডিসেম্বর থেকে টানা অবস্থান করছেন।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের গৌরান্ডি থেকে ওয়াই চ্যানেলে এসেছেন রূপা কর্মকার। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমরা যোগ্যভাবে শিক্ষক হয়েও পাপের সাজা কেন ভোগ করব? আমরা সসম্মানে শিক্ষকতা করতে চাই। একজন নিরপরাধীও যেন শাস্তি না পায়। আমাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। তা থেকে যেন মুক্তি পাই। কাল সুপ্রিম কোর্টে যেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যথাযথ তথ্য পেশ করে। উপযুক্ত বিচার না পেলে আমরা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। যাঁরা অন্যায় করেছে তাঁদের যেন শাস্তি হয়।
মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন ইজাজ আহমেদ। তিনি অবস্থানে অংশ নেওয়ায় বিগত কয়েকদিন স্কুলেও যাননি। তাঁর বক্তব্য, "২৭ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করছি। আমরা স্কুলে যেতে পারিনি। সিবিআই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য শিক্ষক। সরকারের কাছে আমাদের আবেদনযোগ্য আইনজীবী ও তথ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সহযোগিতা করুন।"
আর একজন বলেন, "ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে গাজিয়াবাদ থেকে। তা সবই সঠিক। অযোগ্যরা বাধ্য হয়েছে। বলছে ওই ওএমআর শিট ঠিক নয়। সেটা ওদের বলতেই হবে। আমাদের কাছে অরিজিনাল অ্যাডমিড কার্ড আছে, ইনভিজিলেটরের সই আছে। চাল ও কাঁকড় আলাদা করা ৫ মিনিটের ব্যাপার। আমরা চাই, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। এই পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমরা আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে আছি। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ বিকাশ ভবন ও নবান্নে আমাদের প্রতিনিধি দল দাবি জানাতে গিয়েছে।"
We hate spam as much as you do