Tranding

05:15 PM - 01 Dec 2025

Home / World / প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল সঙ্কটে দীর্ণ শ্রীলঙ্কায় দীনেশ গুনাবর্ধনের প্রধানমন্ত্রীত্বে শপথ

প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল সঙ্কটে দীর্ণ শ্রীলঙ্কায় দীনেশ গুনাবর্ধনের প্রধানমন্ত্রীত্বে শপথ

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ হওয়ার মধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনার মুখে পড়লেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কলম্বোর ফেস গালায় বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তাবাহিনী যে বলপ্রয়োগ করেছেন, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি হানা সিঙ্গার হামাদি টুইটারে জানিয়েছেন, 'শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে যে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের এই বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ করার অধিকার রয়েছে। তাদের কাজে কখনই বাধা দেওয়া কাম্য নয়।'

প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল সঙ্কটে দীর্ণ  শ্রীলঙ্কায়  দীনেশ গুনাবর্ধনের প্রধানমন্ত্রীত্বে শপথ

প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল সঙ্কটে দীর্ণ  শ্রীলঙ্কায়  দীনেশ গুনাবর্ধনের প্রধানমন্ত্রীত্বে শপথ


চরম সঙ্কটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দীনেশ গুনাবর্ধনে। দেশজুড়ে প্রবল সঙ্কটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহে শুক্রবার শপথ নেন। তার একদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন দীনেশ গুনাবর্ধনে। কলম্বোতে এখনও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছেন। ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা একটি মিছিল বের করেন।

 


শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রীর শপথ
চরম আর্থিক সঙ্কট ও দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সেই পদটি শূন্য থাকে। সংসদের নির্বাচনের মাধ্যমে রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ফাঁকা হয়ে যায়। প্রবীণ সাংসদ দীনেশ গুনাবর্ধনে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ৭৩ বছরের গুনাবর্ধনে এর আগে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক ও শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি শ্রীলঙ্কার সমস্ত নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের একজোট হয়ে এই সঙ্কট মোকাবিলার আহ্বান জানান।

 

রবিবার শ্রীলঙ্কার তৎকালীন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। শুক্রবার ভোরে কলম্বোয় গ্যালে ফেসের বিক্ষোভকারীদের শিবির পুলিশ ভেঙে ফেলে। এরপরেই বিক্ষোভকারীরা ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের সামনে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা একটি মিছিল বের করে বলে জানা গিয়েছে।

 

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ হওয়ার মধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনার মুখে পড়লেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কলম্বোর ফেস গালায় বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তাবাহিনী যে বলপ্রয়োগ করেছেন, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি হানা সিঙ্গার হামাদি টুইটারে জানিয়েছেন, 'শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে যে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের এই বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ করার অধিকার রয়েছে। তাদের কাজে কখনই বাধা দেওয়া কাম্য নয়।'


শুক্রবার খুব ভোরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের সামনে গালা ফেসে বিক্ষোভকারীদের একটি শিবির ভেঙে দেয় দেশের সশস্ত্র বাহিনী। দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা যখন সেখানে অভিযান চালান, বিক্ষোভকারীরা তখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নয় জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছেন। ঘটনায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do