পাঞ্জশির মূলত একটি দূর্গম পর্বত উপত্যকা, যেখানে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের বাস। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানের আগের শাসন আমলে এই প্রদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ এসেছিলো।
পঞ্জশির থেকে তালিবানরা সরলে শান্তি আলোচনার জন্য তৈরি, বললেন প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা আহমেদ মাসুদ
শান্তি আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। তবে তার আগে পঞ্জশির উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী আন্দারব থেকে সরতে হবে তালিবান বাহিনীকে। যুদ্ধ থামানোর জন্য এ বার এমনই বার্তা দিলেন উত্তরের জোট (নর্দার্ন অ্যালায়েন্স)-এর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদ।
তালেবানের বিরুদ্ধ্বে পাঞ্জশির উপত্যকায় লড়াই চালিয়ে যাওয়া মাসউদ বাহিনীর নেতা আহমদ মাসউদ জানান, তিনি শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির স্বার্থে ধর্মীয় আলেমদের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেন মাসউদ এবং তালেবানকে তাদের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
এখন থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরই কাবুলের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ করে আসছে পাঞ্জশির প্রদেশের মাসউদ বাহিনী তথা ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট।
ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে আহমদ মাসউদ বলেন, ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্টে আছেন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এবং স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী। তারপরেও তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন, তবে এজন্য আক্রমণ বন্ধ করতে হবে তালেবানকে।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ক্ষমতাসীন তালিবান বাহিনী।
পাঞ্জশির মূলত একটি দূর্গম পর্বত উপত্যকা, যেখানে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের বাস। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানের আগের শাসন আমলে এই প্রদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ এসেছিলো।
এদিকে রাজধানী কাবুলে তালিবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের মানবতাবাদী প্রধান। এসময় দেশটির নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের এক মুখপত্র এর আগে জানিয়েছিলেন যে, সাধারণ মানুষকে মানবিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে তালিবান নেতারা। জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটির ১ কোটি ৮০ লাখ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠীরই এই সহায়তা প্রয়োজন। সূত্র: বিবিসি
We hate spam as much as you do