রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা যে ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে আজ বলপ্রয়োগ করেছে, আমি তা দেখে অত্যন্ত শঙ্কিত। যে অঞ্চল এমনিতেই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য যে অঞ্চল আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে একটা ভয়ানক উত্তেজনা তৈরি করা হল। এই সংঘাত এ বার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। পশ্চিম এশিয়া এবং সারা বিশ্বের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গুতেরেসের আশঙ্কা, আমেরিকার আক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে
২২ জুন ২০২৫
ইরানে আমেরিকার হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। জানিয়েছেন, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বলপ্রয়োগ দেখে তিনি শঙ্কিত। অবিলম্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্যকে উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তিস্থাপনের বার্তা দিয়েছেন তিনি। গুতেরেসের আশঙ্কা, এ বার পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে!
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা যে ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে আজ বলপ্রয়োগ করেছে, আমি তা দেখে অত্যন্ত শঙ্কিত। যে অঞ্চল এমনিতেই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য যে অঞ্চল আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে একটা ভয়ানক উত্তেজনা তৈরি করা হল। এই সংঘাত এ বার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। পশ্চিম এশিয়া এবং সারা বিশ্বের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।’’
ইরানে আক্রমণ শুরু করে দিল আমেরিকা! তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা, সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করে ট্রাম্প জানালেন, ‘এ বার শান্তি’
আমেরিকা - সহ সব দেশের উদ্দেশে গুতেরেসের বার্তা, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলিকে আমি উত্তেজনা প্রশমনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখুন। এই কঠিন সময়ে বিশৃঙ্খলার ঘূর্ণিঝড় এড়ানো খুব জরুরি।’’ এর পর আলাদা করে তিনটি লাইন লিখেছেন গুতেরেস— ‘‘সামরিক সমাধান বলে কিছু হয় না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা কূটনীতি। শান্তিই আমাদের একমাত্র আশা।’’
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতে যোগ দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে। হামলা ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে। ইরানের আকাশসীমা ছেড়ে নিরাপদে বেরিয়েও গিয়েছে আমেরিকার বিমান। এর পরেও যদি ইরান শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের ফরডো, নাতান্জ় এবং এসফাহানে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পরমাণু কেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তাতে নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সেনাকর্তা। প্রাণ গিয়েছে ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীরও। ইজ়রায়েলি হামলাকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
We hate spam as much as you do