রাজ্যের এই বক্তব্যে আমরা ভীষণ হতাশ। শুধু তো জুনিয়র ডাক্তারেরাই কর্মবিরতিতে আছেন। এঁরা তো চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ হতে পারেন না। সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ডিউটি করছেন। শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের জন্যই রোগী মারা যাচ্ছেন, এই তত্ত্বের আমরা বিরোধিতা করছি।” বরং, জেলাস্তরে হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবের কথাই মনে করিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি সামান্য সিটি স্ক্যান করানোর জন্যও জেলা হাসপাতাল থেকে কোন্নগড়ের এক রোগীকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
জুনিয়ররা স্ট্রাইকে, সিনিয়ররা পরিষেবায় আছেন, মিথ্যে বলছে রাজ্য
10 সেপ্টেম্বর 24
যদিও রাজ্যের দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন অর্ণব তরফদার বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে বলে যে পরিসংখ্যান রাজ্য সরকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, তা একদমই মিথ্যা। কারণ, জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি করছেন। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ কতগুলি আছে? মাত্র ২৬টি। বাকি রাজ্যজুড়ে প্রচুর হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও ব্লক হাসপাতাল রয়েছে। সেগুলিতে কী হচ্ছে? সেখানে তো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও কর্মবিরতি করছেন শুধু জুনিয়র ডাক্তারেরা। সিনিয়র ডাক্তারেরা পরিষেবা দিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের পরিষেবা দেওয়ার কথা নয়। কারণ, আমরা শিক্ষানবিশ। ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা নয়। যদি ধরেও নিই পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, তাহলে তো ভেবে দেখতে হবে। তাহলে কি পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে চলে? বাস্তব চিত্রটা, অনেক জায়গাতে এটাই। জুনিয়র ডাক্তারদের ভরসাতেই চলে। কোনও সিনিয়র ডাক্তার নিয়োগ হয় না। বহু পদ বছরের পর বছর ফাঁকা থাকা। সরকার যদি সত্যি সত্যিই মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তা হলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করুন এবং চিকিৎসক নিয়োগ করুন।”
বক্ষ রোগ বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার শুভেন্দু মল্লিকের কথায়, “রাজ্যের এই বক্তব্যে আমরা ভীষণ হতাশ। শুধু তো জুনিয়র ডাক্তারেরাই কর্মবিরতিতে আছেন। এঁরা তো চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ হতে পারেন না। সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ডিউটি করছেন। শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের জন্যই রোগী মারা যাচ্ছেন, এই তত্ত্বের আমরা বিরোধিতা করছি।” বরং, জেলাস্তরে হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবের কথাই মনে করিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি সামান্য সিটি স্ক্যান করানোর জন্যও জেলা হাসপাতাল থেকে কোন্নগড়ের এক রোগীকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার মামলার শুনানির সময় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের তরফের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও আদালতে জানান আইনজীবী। এমনকি আন্দোলরত চিকিৎসকদের পরিবারের যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদেরও বদলি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
We hate spam as much as you do