গত কয়েকদিন ধরে হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবিতে ১২ দিন ধরে ছাত্র আন্দোলন চলছে বিশ্বভারতীতে। কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পরীক্ষা ও বসন্ত উৎসব নিয়ে এ দিন তাই ভার্চুয়ালি একটি বৈঠকে বসেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখান তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সামনেই বসন্ত উৎসব, অন্যান্য অনুষ্ঠান যে ভাবে করা হয়, প্রথা মেনে সে ভাবেই করা হবে। তবে আগে যে আয়োজন করা হত, তা আর হবে না।
শান্তিনিকেতনে এবছরও বসন্ত উৎসব বন্ধ পুলিশকে দায়ী করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য
২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হয়েছিল। এরপর থেকেই বন্ধ এই উৎসব।
এবারও শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব, পুলিশকে দুষলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য
বসন্ত মানেই শান্তিনিকেতন। বাঙালির এক চিরাচরিত উৎসবের রীতি। গত দু বছর ধরে হয়নি সেই উৎসব। আর এবারও বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হবে না বলেই জানা গিয়েছে। ঘরোয়া ভাবে পালিত হবে দোল। উৎসব না হওয়ার দায় রাজ্য সরকারের ওপরেই চাপালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ ইচ্ছা করেই সাহায্য করে না বিশ্বভারতীকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতি ও বসন্ত উৎসব প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে ভার্চুয়ালি এই মন্তব্য করেন। সেই বৈঠকের বেশ কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি সামনে আসে।
গত বছর যে ভাবে বিশ্বভারতী পরিবারকে নিয়ে ঘরোয়া ভাবে উদযাপন করা হয়েছিল, ঠিক সে ভাবেই বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও তা দোলের দিন উদযাপন হবে না, কারণ দোলের দিন তা আয়োজন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘তাঁরা ইচ্ছা করেই সাহায্য করে না। তাই আমরা রাজ্য পুলিশের ওপর নির্ভরশীল নয়।’ তাঁর দাবি, বসন্ত উৎসব কখনই আমজনতার অনুষ্ঠান ছিল না, এটা বিশ্বভারতী পরিবারের নিজস্ব অনুষ্ঠান। তাই নিজেদের মতো করে আয়োজন করা হবে। তা করার জন্য আমরা সঙ্গীত ভবনের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব না হলেও, শান্তিনিকেতন বোলপুরের নানা জায়গায় পর্যটকদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে বসন্ত উৎসবের। তবে এরপরেও বোলপুর শান্তিনিকেতন পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যবসা সহ নানান বিষয়ে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সকলেই।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, ‘এর আগেও বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে পুলিশ সব রকম সহযোগিতা করেছে। তাই ওনার কাছে এই রকম মন্তব্য অপ্রত্যাশিত।’
We hate spam as much as you do