এই মুহূর্তে আরজি কর আন্দোলনে বামেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিজেপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
RGKar আন্দোলন বামমুখী, প্রগতিশীল ‘অস্বস্তি’তে বিজেপি
Sep 8, 2024
সাম্প্রতিক ঘটনায় সরকার-বিরোধী প্রতিবাদের আবহেও কার্যত দু’টি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। প্রথমত, নাগরিক সমাজ এই নিয়ে যে ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করছে, সেখানে দলীয় উপস্থিতি ততটা জোরালো হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনার প্রতিবাদে বামেদের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও যথেষ্ট সাড়া মিলছে। সব মিলিয়ে বিরোধী পরিসরে একচ্ছত্র দখলদারি তো বটেই, সামান্য দাঁত ফোটাতেও কালঘাম ছুটছে বিজেপির।
বিজেপি আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম দফায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল। দলের প্রায় সব স্তরের নেতা-কর্মীরা ওই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। তার পরেই ‘ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান এবং তাকে কেন্দ্র করে ১২ ঘণ্টার বন্ধে পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে গিয়ে বিরোধী পরিসরে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছিল বিজেপি। প্রথম ধর্নার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে আরও এক দফা ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি।
কিন্তু তাতে কিছু লাভ হয়নি। আবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে বিজেপি যেভাবে ইন্ধন দিতে চেয়েছিল তা আগেই প্রকাশ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। ওই অভিযানে সমর্থন করেনি সিপিএম। অরাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন জায়গায় যে আন্দোলন হচ্ছে তার ধারার মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভাবনা নেই উগ্র জাতীয়তাবাদের চিহ্ন নেই এমনকি বহু বিপ্লবী বামপন্থী স্লোগান সাধারণের স্লোগানে পরিণত হয়েছে। ফলে নাগরিক সমাজের স্বাভাবিক আন্দোলনের অভিমুখ প্রগতিশীল এবং সমন্বয়ের যা বামপন্থীদের অগ্রগতিতে সাহায্য করবে বলে মনে হয়। বিজেপি সরাসরি পতাকা নিয়ে বারবার আন্দোলনের অভিমুখে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হচ্ছে না যারফলে সেই আন্দোলনে অনেকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জনমানষে। সুতরাং এই মুহূর্তে আরজি কর আন্দোলনে বামেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিজেপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
We hate spam as much as you do