হৃষিকেশ পল্লিতে কয়েকবছর ধরে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে চলছিল রঞ্জনের অফিস। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব ও ভুয়ো সিবিআই কৌসুলি সনাতন রায়চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর নীলবাতি নিয়ে ঘোরা একটু কমে গিয়েছিল রঞ্জনের। সম্প্রতি সব চার চাকা ও বাইকে প্রেস স্টিকার লাগিয়েছিলেন তিনি।
আবার ভুয়ো, নীল আলোর গাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায় হিউম্যান রাইটস অফিসারের পরিচয়ে প্রতারণা
পশ্চিমবঙ্গে আর কতজন ভুয়ো অফিসার আছেন? সেই দেবাঞ্জনের পর থেকে ভুয়ো প্রতারক অফিসার আর নীল আলোর মিথ্যে গাড়ির ধুম লেগেছে। আর পুলিশের ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।
তিনি নিজেকে মানবাধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিতেন। সঙ্গে আবার রাখতেন দুই দেহরক্ষীও। গাড়িতে লাগানো নীল বাতিও। এই ভাবে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হুগলির চুঁচুড়ার হৃষিকেশ পল্লি থেকে গ্রেফতার আরও এক ভুয়ো অফিসার। ধৃতের নাম রঞ্জন সরকার।
হৃষিকেশ পল্লিতে কয়েকবছর ধরে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে চলছিল রঞ্জনের অফিস। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব ও ভুয়ো সিবিআই কৌসুলি সনাতন রায়চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর নীলবাতি নিয়ে ঘোরা একটু কমে গিয়েছিল রঞ্জনের। সম্প্রতি সব চার চাকা ও বাইকে প্রেস স্টিকার লাগিয়েছিলেন তিনি।
গত রোববার রাতে পুলিশ রাস্তা চেকিং এর সময় এক বাইক আরোহীর গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানোয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রঞ্জন সরকারের কথা জানতে পারে। তার অফিসে যেতে সন্দেহ হতেই তাকে অ্যারেস্ট করা হয়।
হানা দেওয়া হয় চুঁচুড়া পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও। রঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে মোট হাল ফ্যাসনের ৬ টি চার চাকা গাড়ি ও ৫টি বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সেনের নেতৃত্বে পুলিশ রঞ্জনের অফিসে তল্লাসিতে যায়।
দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্তকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি রঞ্জন সরকার ইউটিউবে খবরের চ্যানেল চালু করেন। কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেন, তাঁদের সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন রঞ্জন। সংবাদ মাধ্যম tv9 এর বক্তব্য অনুযায়ী বলাগড়ের যুবক সমরেশ পাল বলেন, “গ্রুপ ডি ও রেলে চাকরি দেবার নাম করে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা তোলেন রঞ্জন। তিন বছর আগে টাকা দিয়েছেন অনেকেই, চাকরি হয়নি কারোর। টাকা ফেরত চাইলে ভয় দেখাতেন। নীল বাতি গাড়ি হুটার বাজিয়ে যেত আর পরিচয় দিতেন মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক হিসাবে।”
ডিসি চন্দননগর ভিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন পুলিশের নাকা চেকিংয়ের সময়ে লিড পেয়ে অভিযান চালানো হয়। রঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রেস, মানবাধিকার, ভিজিলেন্স কমিশনের ভূল নথি তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। চাকরি করে দেওয়ার নামে বহু মানুষের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
সরকার এবং পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো দরকার যাতে সারা রাজ্য জুড়ে যত ভুয়ো কারবারি তাদের গ্রেপ্তার করা যায়।
We hate spam as much as you do