Tranding

05:00 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর

উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর

ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। আরও ৫টি কেন্দ্র দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবায় নির্বাচন করতে হবে। নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ভবানীপুর কেন্দ্রটি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর

উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর

মুশকিল হল উপনির্বাচন না হলে মমতা ব্যানার্জী আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন কি? নিয়ম অনুসারে না। তাই অবিলম্বে তার বিধায়ক হওয়া প্রয়োজন।


এদিকে রাজ্য সরকারের বক্তব্য সংক্রমণ হার অনেকটা কমে গিয়েছে। আগামী ১০ দিনে তা ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন সেরে ফেলা উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,' উপনির্বাচন অনেকগুলি কেন্দ্রে বাকি। আমরা চাইব উপনির্বাচন হয়ে যাক। ৭ দিন প্রচারের জন্য দেওয়া হোক। সকাল ১০ থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রচারের সময় দিলেই হয়ে যাবে। এর চেয়ে বেশি নিতে চাই না।'

 

আট দফার নির্বাচন একসঙ্গে করলে এতটা সংক্রমণ বাড়ত না বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,'৮ দফার নির্বাচনের সময় বারবার বলেছি, একসঙ্গে করে দেওয়া হোক। একদিনে নির্বাচন হলে কোনও সমস্যা হয় না। প্রথম দফার নির্বাচনে সংক্রমণ হার ছিল ২-৩ শতাংশ। বাড়তে বাড়তে পঞ্চম থেকে অষ্টম দফায় এটা চলে গিয়েছিল ৩৩ শতাংশে। আট দফা নির্বাচনের সময় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। ৩৩ শতাংশ থেকে আমরা ৩.৬১ শতাংশে নামিয়ে এসেছি। অনেক রাজ্যে জনঘনত্ব কম। আমাদের অনেক বেশি। বিধিনিষেধ চললেও অনেক কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। অনেক জেলা কমিয়েছে সংক্রমণ। দার্জিলিং একটু বেশি আছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়ার মতো কয়েকটা জেলায় একটু বেশি আছে।'

 

ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। আরও ৫টি কেন্দ্র দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবায় নির্বাচন করতে হবে। নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ভবানীপুর কেন্দ্রটি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিমত,'উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত। কারণ কোভিড পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। ৭ দিন প্রচারের সময় দিয়ে করতে পারে। বেশি সময় দেওয়ার দরকার নেই। মুর্শিদাবাদের ২টি আসনে নির্বাচন বাকি। প্রায় ৭টি আসনে নির্বাচন বাকি। আমরা অপেক্ষা করছি।'


দরকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করতে পারেন বলে জানান মমতা (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন,'আমি জানতে পেরেছে, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে উপনির্বাচন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এমনটা হলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে উপনির্বাচনের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করব। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ এলে আর করা যাবে না। ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাই নিয়ম। নির্বাচনের সময় কোভিড সংক্রমণ হার ছিল ৩৩ শতাংশ। এখন এটা কমে হয়েছে ৩.৬১%।  ১০ দিনের মধ্যে এটা ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে। ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হারে নির্বাচন হতে পারে অথচ ১-২ শতাংশ থাকলে নির্বাচন হতে পারে না। আর কয়েকটা এলাকায় ভোট হতে পারে। বেশি সময় চাই না। উপনির্বাচন আয়োজনে অল্প সময় দিলেই হবে।' 

ওয়াকিবহাল মহলের খবর ভালো গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও নেত্রী খুবই টেনসনে আছেন।

Your Opinion

We hate spam as much as you do