নদিয়ার হাঁসখালির রামনগর গ্রামে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এদিন রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নং পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাজারে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূল নেতা আমোদ আলি বিশ্বাস।
নদীয়ার হাঁসখালিতে, তৃণমূল নেতাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা
April 7, 2023
কোচবিহারের শীতলকুচির পর এবার নদিয়ার হাঁসখালি। আবারও দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা। ভরা বাজারে চায়ের দোকান থেকে ডেকে তৃণমূল নেতাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা। রোমহর্ষক এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব বাজারে আসা বাকিরা। প্রাণভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন অনেকে। মুখে কাপড় বেঁধে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে নদিয়ার হাঁসখালির রামনগর গ্রামে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এদিন রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নং পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাজারে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূল নেতা আমোদ আলি বিশ্বাস। ঠিক সেই সময়ে ৮-১০ দুষ্কৃতীর একটি দল সেখানে যায়। এদেরই মধ্যে কয়েকজন আমোদ আলি বিশ্বাসকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নেয়। দোকানের বাইরে এলেই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
প্রাণভয়ে পালাতে গেলে তার দিকে ধেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। শেষমেশ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে দুষ্কৃতীর দল তৃণমূল নেতাকে গুলি করে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে যায়। নিহত তৃণমূল নেতার নিথর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগরে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের শীতলকুচিতেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার নদিয়ার হাঁসখালিতে ভরা বাজারে তৃণমূল নেতা খুন।
বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো পশ্চিমবঙ্গটাই দুষ্কৃতিদের স্বর্গরাজ্যের পরিণত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল নেতার কোনো নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠবেই। আগে বিরোধী নেতাদের মারা হতো। এখন শাসক দলের নেতাদেরই খুন হতে হচ্ছে। রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে
We hate spam as much as you do